স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের নামে সরকারি টাকা অপচয় করা যাবে না। ইমপ্যাক্ট এবং আউটপুট বিশ্লেষণ করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহার করতে হবে। রোববার (৩১ জুলাই) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত। এই শহরটি দেশের আইডল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। দেশের অর্থনীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরকে কোনোভাবেই অবমূল্যায়ন করার উপায় নেই। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে, তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কার্যকর না হয় অথবা যাচাই-বাছাই না করে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। খালের উপর দোকান-পাট বানানো হয়েছে। এগুলোর কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হতে পারে না। তাই বন্দর নগরীর সব খাল দখলমুক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে এশিয়ায় সফলতার শীর্ষে বাংলাদেশ : মন্ত্রী তাজুল

তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সব পক্ষকে নিয়ে তিনি অনেকগুলো সভা করেছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্যা একবারে নিরসন হয়েছে এমনটি দাবি করা যাবে না। তবে অগ্রগতি যে হয়নি তাও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশে পরিবর্তন আসবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উন্নত-সমৃদ্ধ সুন্দর একটি দেশ পাবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চাকতাই খাল খনন, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএসএইচ