আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সার্ক মেটেরিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি) ভবনের সংস্কার কাজে আর্থিক মঞ্জুরি অনুমোদন করায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান সায়েন্টিফিক অফিসার মুহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা হলেন-বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আবহাওয়াবিদ মো. আতিকুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সাবেক সার্ক মেটেরিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি) ভবনের সংস্কার কাজে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
আসামিরা আর্থিক ও প্রশাসনিক মঞ্জুরি ক্ষমতার বাইরে গিয়ে মঞ্জুরি দিয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন অনুসন্ধানকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র, বিশারদদের মতামত ও সাক্ষীদের বক্তব্য পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক পদাধিকার বলে ৫ কোটি টাকার আর্থিক মঞ্জুরি অনুমোদন করতে পারেন। পরিচালক ব্যতীত আবহাওয়া অধিদপ্তরের অন্য কোনো কর্মকর্তার আর্থিক মঞ্জুরি দেওয়া সংক্রান্ত ক্ষমতা নেই।
কিন্তু সার্ক মেটেরিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি) ভবনের সংস্কার সংক্রান্ত কাজে আসামি ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সাবেক আবহাওয়াবিদ হিসাবে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৪ টাকা, আবহাওয়াবিদ মো. আতিকুর রহমান ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৩৬৭ টাকার প্রশাসনিক অনুমোদনে প্রতিস্বাক্ষর করেন।
আর অপর আসামি সাবেক পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪৭ হাজার আর্থিক মঞ্জুরি অনুমোদন করেন। এর মাধ্যমে ভবনের সংস্কার কাজে পিপিআর ২০০৮ এর বিধিমালা ১৭ (২) ও (৫) ভঙ্গ করেছেন। কৌশলে একই প্রকৃতির কাজকে ভাগ ভাগ করে পাঁচটির অধিক ৮টি লট ভাগ করেছেন।
এ ছাড়া বিধান অনুযায়ী সংস্কারকাজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক অনুমোদনযোগ্য হলেও অনুমোদন না নিয়ে তারা নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে দুদকের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্য এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
আরএম/আরএইচ