রাজধানীতে বাসের প্রতিযোগিতা বন্ধের নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর মধ্যে গতি প্রতিযোগিতা বন্ধে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্সের সদস্য ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিজ্ঞাপন
শাজাহান খান বলেন, আমরা আজকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং এটাকে নিয়ে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় আমাদের শ্রমিকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। শ্রমিকরা মালিকদের কাছ থেকে বাস ইজারা নেন। এ অবস্থা আমরা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিচ্ছি। এটা ক্ষতিকর। আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, যাতে কোনো ক্রমেই একটি বাস আরেকটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা না করে।
আরও পড়ুন : ‘আমরা চাকর না’ বলা বিমানের ক্রু বরখাস্ত
তিনি বলেন, গাড়ি রেখে রাস্তা আটকে রাখা, এসব বিষয়ে আমরা একটা সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা কর্মরত ৬২ হাজার পরিবহন শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আরও পরিবহন শ্রমিকদের আমরা প্রশিক্ষণ দেব টার্মিনালগুলোতে।
যত্রতত্র বাস-ট্রাক পার্কিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আরও কয়েকটি বাস টার্মিনাল করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেগুলো হলে আর সড়কে পার্কিং করা যাবে না। আর পুরনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি পুলিশ শুধু জব্দ করবে না, সেগুলো স্ক্র্যাপ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাজাহান খান বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি নিয়োগপত্র নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একটা বিরোধ আছে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং একটি সিদ্ধান্তও নিয়েছি। মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বসে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন এবং কমিটিতে অবহিত করবেন। এখন শ্রমিকরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয়ভাবে মালিক ও শ্রমিকরা এ বিষয়ে বসবেন। আমরা সবাই একমত হয়েছি সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একদিন ভার্চুয়ালি সারাদেশে একসঙ্গে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়টি উদ্বোধন করবেন। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগের, বাস্তবায়নটা একটু দুর্বল ছিল, এটাকে আমরা ত্বরান্বিত করতে চাই।
আরও পড়ুন : দুর্নীতি করিনি, ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছি : প্রদীপ
ড্রাইভারদের ডোপ টেস্ট করে লাইসেন্স নবায়ন করা বা নতুন লাইসেন্স দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ডোপ টেস্টের বিষয়ে কয়েকটি সেন্টার আছে। আমরা এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বলেছি।
এই টেস্ট করতে ৯০০ টাকা প্রয়োজন হয় জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, সেটাকে কমানোর জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। যাতে ড্রাইভারদের হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এসএইচআর/এসকেডি