প্রতীকী ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথমে প্রেম, তারপর কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং পরে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম আব্দুল আহাদ। তার হেফাজতে থাকা ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিম জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ জুলাই) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল আহাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর। নিয়মিত কথোপকথন (চ্যাট) হওয়ায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

আরও পড়ুন: গোপনে আপত্তিকর ছবি তুলে ঢাবিছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল

পরে গ্রেপ্তার আহাদ ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়। তরুণীর ব্যবহৃত জিমেইল অপারেট করতে সমস্যা হওয়ায় জিমেইলের আইডি ও পাসওয়ার্ড সরল বিশ্বাসে আহাদকে দেয়।

কথোপকথনের (চ্যাট) সময় আহাদ ভিকটিমকে শরীরের বিভিন্ন অংশের ছবি দিতে বলে। ছবি না দিলে জিমেইল আইডির মাধ্যমে ভিকটিমের ফেসবুক আইডিতে ঢুকে ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে ভিকটিম বাধ্য হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের ছবি আহাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠান।

ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্ত আহাদ ভুক্তভোগীর ছবি পেয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার কুপ্রস্তাব দেয়। ভিকটিম তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও শনিবার (২৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রতিকার চেয়ে লালবাগ থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলাটি তদন্ত শুরু করে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। মামলা তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরাধের কৌশল সম্পর্কে মহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আহাদ কৌশলে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে ফেসবুকে প্রথমে সম্পর্ক তৈরি করে। তাদের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কথা বলার সময় কৌশলে স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিমরা তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা এ পুলিশ কর্মকর্তা।

জেইউ/এসএসএইচ