চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কর্পোরেশনের কার্য পরিচালনায় মিতব্যয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় সংকোচন এবং সাশ্রয়ী হওয়া সময়ের দাবি। নগরীতে যেসব বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে, সেগুলো চসিকের অনুমোদিত কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিলবোর্ডগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।

সোমবার (২৫ জুলাই) চসিকের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। সভায় বিভিন্ন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চসিকে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।

এসময় মেয়র সৌন্দর্য বর্ধনের নামে নগরীতে যেসব অপরিকল্পিত কাজ করা হয়েছে, সেগুলো পরিহার করে নতুন উদ্যোগে নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান।

সভায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য চসিক যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, সেসব চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তাদের চুক্তি বাতিল বলে গণ্য করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া নগরীতে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অবৈধ এবং সৌন্দর্য নষ্ট করছে এমন স্থাপনা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে।

এছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ে বিধি না মেনে চসিকের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। পরিচ্ছন্ন বিভাগের জন্য নতুন কনটেইনার মোভার কেনার সিদ্ধান্তও হয়েছে চসিকের সভায়।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুস সালাম মাসুম, আব্দুল বারেক , মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. আকবর আলী প্রমুখ।

কেএম/এমএইচএস