সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। জনগণ যাতে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাঙ্খিত সরকারি সেবাসহ সব ধরনের ন্যায্য অধিকার পায়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরই তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ও বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ প্রদান উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৩ জুলাই) ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২২’ উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মো. আবদুল হামিদ বলেন, জনকল্যাণে সরকার গৃহীত নীতি-কৌশল প্রণয়নের পাশাপাশি সেগুলো বাস্তয়নে দক্ষ, গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিতকরণ ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ প্রাপ্ত সব কর্মচারীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘সব সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য’- এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এজন্যই সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে’।
তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত রূপকল্প-২০২১ সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবরূপ লাভ করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। সর্বোপরি সরকারের সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে করোনা অতিমারির সময়েও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। এ সব অর্জনে জনপ্রশাসনের কর্মচারীরা প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন বলেও রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের ফলে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিবেচনা করে আগামী দিনের নীতি-কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সেবা প্রদানের মানসিকতার উপর এ সব পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন বহুলাংশে নির্ভরশীল। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এর সম্ভাবনাগুলো জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের নিজেদের সক্ষমতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীদিনে সরকারের সব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
এসএম