বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভা

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএসসিসি) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বাস বে বা বাস স্টপেজের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি এটি করতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করতে পারবে।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসি নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৬তম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, প্রস্তাবিত রুটের ভাড়া নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ। যেহেতু এই সেবা উচ্চমানসম্পন্ন হবে, তাই ভালো বাস থাকবে, যাত্রীদের সুবিধা থাকবে, প্রতি কিলোমিটার ২.২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের জন্য যে জায়গাগুলো আমরা নির্ধারণ করেছি সেগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজ আদান প্রদান চলছে। এটি একটি সমন্বিত প্রয়াস। এখানে অনেক কিছু জড়িত। আমরা একসঙ্গে সার্বিক বিষয় এগিয়ে নিতে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুট পর্যন্ত করা এই প্রকল্পের জন্য আমরা সহজ শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছি। আমরা আশাবাদী প্রক্রিয়াগতভাবে এই প্রকল্পটি এপ্রিলের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

গত ১৯ জানুয়ারি বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৫তম সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র তাপস জানিয়েছিলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর অংশ হিসেবে আগে ঘাটারচর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পাইলট রুট চালুর সিদ্ধান্ত ছিল। সে অনুযায়ী কমিটি কার্যক্রম শুরু করার পর সার্বিক বাস্তবতায় দেখা যায় যে, ঘাটারচর থেকে শুধু মতিঝিল পর্যন্ত রুট নির্ধারণ করা হলে এটি ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। এজন্য পাইলট রুটের পরিধি বাড়িয়ে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত করা হচ্ছে। এই রুট চালুর ক্ষেত্রে যাত্রী ছাউনি এবং বাস-বেসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণে কিছু জমির প্রয়োজন হবে। অবকাঠামোগুলোর কাজ যাতে শেষ করা যায়, এজন্য সভায় আলোচনা হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে এই রুটে যাদের বাস চলছে, অন্যরা যারা এই রুটে বাস চালাতে চায় সবাইকে নিয়ে সমন্বয় করতে চায় কমিটি। এই বিষয়টি নিয়ে বাস মালিকেরা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসবেন। আয় এবং ব্যয়ের হিসেব যাতে ঠিকমতো হয় এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি হবে। নীতিমালা অনুযায়ী পাইলট এই প্রকল্পে জয়েন্ট ভেঞ্চার অ্যাগ্রিমেন্ট (জেভিএ) হবে। এরপর পূর্ণাঙ্গ কোম্পানি হিসেবে চালু হবে। যাতে করে সুষ্ঠুভাবে, শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থাপনা আসে।

বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে একশ কোটি টাকার বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকে বর্তমানে চলাচলকারী বাসগুলোর আধুনিকায়নের জন্য মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে সহজ সুদে ঋণের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ হয়েছে কমিটির। দীর্ঘমেয়াদে মালিকেরা যাতে এই ঋণ পান সে ব্যাপারে দ্রুত ডিটিসিএ চিঠি লিখবে বলে কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

সভায় ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) রাজউক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস