পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রতিটি মানুষ যেন বসবাস করতে পারে, সেজন্য একটা জায়গা করে দেওয়া। এটা প্রথম করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সেই বাংলাদেশের কোনো মানুষ যেন ঠিকানাবিহীন না থাকে। তাদের জীবনটা যেন সুন্দর হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই উদ্যোগটা জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার হাতে গড়া বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষের অন্তত একটা বসবাসের জায়গা করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই আশ্রয়ণ।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে। 

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যখন দেশে ফিরি আমাদেরকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা ৩২ নম্বরের রাস্তায় বসে দোয়া পড়েছি, সবার মাগফিরাত কামনা করেছি। 

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা-একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তর হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি। আজ হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।

ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ঘরগুলোকে বেশি টেকসই করে নির্মাণ করতে মজবুত কড়ি কাঠ, পাথরের সর্দল ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।

এইউএ/জেডএস