আমরা সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলি। কিন্তু আমরা বরাবরই অন্যকে এ কাজ করতে বলতে যতটা পটু, নিজেরা সেই দায়িত্ব ততটা পালন করি না। যার কারণে আমাদের চারপাশ অপরিচ্ছন্ন থাকে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যক্তিরও দায়িত্ব আছে।

বুধবার (২০ জুলাই) বারসিক আয়োজিত হাজারীবাগের ঝাউচরে অনুষ্ঠিত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অভিযানে গিয়ে ব্র্যাকের অভিবাসন ও ইয়ুথ প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান বলেন, পৃথিবীর সব ধর্মেই পরিচ্ছন্নতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা যে দেশেই যাই, সব জায়গায় দেখি মানুষ কতটা পরিচ্ছন্ন। আমরা আজকে যদি শিক্ষা নিতে পারি তাহলে জাপান বা পৃথিবীর যেকোন সভ্য দেশের মত পরিচ্ছন্ন থাকব। আর দেশটা সত্যিকার অর্থেই পাল্টে যাবে। সবকিছু অন্যরকম হয়ে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রেই একে অন্যের দিকে আঙ্গুল দেখাই। কিন্তু আমরা যদি নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি তাহলে আমাদের চারপাশ ও দেশ একদম পাল্টে যাবে।

লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ভাল থাকলে আসলে আমাদের কী লাভ, আমরা কি কখনো সেটা ভেবে দেখেছি? আমাদের শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে পরিবেশ-প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা-শ্রদ্ধা করাটা সঠিক ভাবে শেখানো হয় না। একটা স্কুলও একটি দারুণ উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে পরিচ্ছন্নতার মডেল হিসেবে যদি আমরা সত্যিকার অর্থেই চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুব ভাল করে জানুক, বুঝুক এবং আমাদের দেশের মানুষ বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ মানুষে পরিণত হউক। এটা করতে পারলে আমরা দেশকে সত্যিকার অর্থেই উন্নত করতে পারব। প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশকে বাদ দিয়ে পৃথিবী আগাতে পারবে না। সেটা করোনাও আমাদের আরেকবার শিখিয়ে গেছে।

হাজারীবাগ হাজী আব্দুল আওয়াল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্তিবাসী নেতা হারুন অর রশিদ, আলমগীর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ।

এমএইচএন/আইএসএইচ