বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস আটকে পড়ায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়েছে। 

রেলওয়ে ঢাকা সার্কেলের এএসপি মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১২টার কিছু সময় পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্টেশন ছেড়ে চলে গেছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। 

এরআগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস আটকে পড়ায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিমানবন্দরের কাউন্টারে গেলে তাদের ৪টি টিকেট দেওয়া হয়। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুকিং সহকারীদের বাগবিতণ্ড হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চিলাহাটিগামী নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে অবরোধ তৈরি করে। 

রেলের অব্যবস্থাপনা রোধে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে  কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। দাবি আদায়ে গতকাল তিনি লংমার্চ করেন । 

গত ১৩ জুন রাজশাহী ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকা-রাজশাহীর টিকিট কাটার চেষ্টা করেন তিনি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে বিকাশ থেকে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। কিন্তু পিন নম্বর দিয়ে সেটি নিশ্চিত করার আগেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের মূল্য কাটা হয়। ঘটনার পর রনি দ্রুত কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কারণ হিসেবে জানানো হয়, সিস্টেমের কারণে এমন হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না পেলে অভিযোগ করতে বলা হয়।

রনি জানান, অথচ তখন তার চোখের সামনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তার বুকিং করা ৬৮০ টাকার আসনটি আরেক যাত্রীর কাছে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন স্টেশনের কম্পিউটার অপারেটর। এরপর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ১৪ এবং ১৫ জুন দুই বার অভিযোগ করেন।

এমএইচএন/এনএফ