সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচার সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম মিঠুসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর ভাটারা, বনশ্রী, মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১ এর একটি দল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, দেশে কিডনি রোগ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনির চাহিদা বেড়েছে। দেশের আইন মেনে নিকটাত্মীয়ের দেওয়া কিডনির মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।

কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি হিসাব বলছে, দেশে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে বছরে ৫০০ কিডনিও প্রতিস্থাপন করা হয় না। সচ্ছল মানুষ দেশের বাইরে কিডনি প্রতিস্থাপন করাচ্ছেন। কেউ কেউ কিডনি যেমন কিনছেন তেমনি অনেকে অভাবে পড়ে বিক্রি করছেন কিডনি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ কিডনি চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনি ক্রেতা বা রোগী, বিক্রেতা ও মধ্যস্থতাকারী দালালেরা একসঙ্গে ভারতের কলকাতা, দিল্লিসহ কয়েকটি বড় শহরের নির্দিষ্ট কিছু হোটেল ও হাসপাতালে গিয়ে কিডনি কেনাবেচার কাজ করছেন। তাদের পরিচয় ঘটছে মূলত ফেসবুকে।

ফেসবুক গ্রুপ কিডনি ডোনেট ফর বাংলাদেশ, কিডনি লাইভ ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্ভিস, বিডি কিডনি পেশেন্ট বাংলাদেশ, ব্লাড ডোনার-কিডনি ডোনার পেশেন্ট গাইড, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট অ্যান্ড ডোনার কমিউনিকেশন ইন্ডিয়ান হাসপাতাল, কিডনি নেটওয়ার্ক, কিডনি বাংলাদেশ, কিডনি পেশেন্ট বাংলাদেশ, সলিউশন ফর কিডনি প্রবলেম, লুকিং ফর এ কিডনি ডোনারসহ এসব গ্রুপের সদস্য হতে হলে অবশ্য অ্যাডমিনের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ফোন নম্বর দিয়ে সদস্য হওয়ার আবেদন করতে হয়। এসব গ্রুপের বেশির ভাগ সংগঠক মূলত কিডনি দালাল।

জেইউ/জেডএস