উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যেসব ভবন থেকে পয়োবর্জ্যের লাইন সরাসরি সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেওয়া হয়েছে আমরা ইতিমধ্যে সেসব ভবনের একটি তালিকা প্রণয়ন করেছি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তালিকা অনুযায়ী গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনের মতো অভিজাত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৯জুলাই) গুলশান-২ নগর ভবনের হল রুমে গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন এলাকার সোসাইটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে জনগণকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আসুন আমরা নগরকে ভালবাসি প্রতিদিন। শহরের খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিটি বাসা বাড়িতে অ্যাট সোর্সে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সিটি করপোরেশনে খালগুলো হস্তান্তরের পর থেকে আমরা খালগুলো উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখেছি বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ও অন্যান্য ভবনের পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি সারফেস ড্রেনে এবং খালে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খালগুলো দূষিত হচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা নিয়মিত লেক পরিষ্কার করছি, খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করছি কিন্তু বাসা-বাড়ির পয়োবর্জ্যের লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূষণ করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ না হয়ে সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। সেটি আর হতে দেওয়া যাবে না। পয়োবর্জ্যের লাইন সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেওয়া যাবে না। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করলে সুয়ারেজের জন্য আলাদা কোনো ধরনের বিল দিতে হবে না। এ বিষয়ে আমরা ওয়াসার সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। আমি বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে এ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি করতে হবে। 

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শহরের অভিজাত এলাকায় আপনারা বাসা বাড়িতে সুখে থাকবেন আর আপনাদের পয়োবর্জ্য সারফেস ড্রেনে এবং খালে সংযোগ দিয়ে খাল দূষণ করবেন সেটা হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি