দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে হাজির হননি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারসহ চার কর্মকর্তা। 

বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতসহ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদেরকে সোমবার (১৮ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল।

দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম সারাদিন তাদের জন্য অপেক্ষা করলেও তারা কেউই হাজির হননি। এমনকি তারা কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি জানিয়েছে।

এদিন মেসার্স জিকে এন্টারপ্রাইজের মালিক, ডিএসসিসির আঞ্চলিক অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ, প্রেম ধন রুদ্রপাল এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোল্লা আব্দুল মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল।

আরও পড়ুন>> ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা

এর আগে গত ১৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে ১২ প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। নোটিশে তলব করা কর্মকর্তাদের ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়।

তলবি নোটিশে কর্মকর্তাদের ২০১৮ সালের কর্মরত পদবি উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, রাজস্ব কর্মকর্তা শাজাহান আলী, সাবেক মেয়রের পিএস ও কর কর্মকর্তা আলীম আল রাজি ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম, সিন্ডিকেট, বদলি বাণিজ্য, বিভিন্ন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ ব্যবস্থাপনায় অনিয়মসহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন।

যদিও এরইমধ্যে গত ৬ মার্চ প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামি ইউসুফ আলী সরদারের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪৩ লাখ ১০ হাজার ৭৮৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
আরএম/জেডএস