প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমি যেটা মনে করি, সরকারি দল যদি বিএনপিকে নিয়ে বসতেন এবং পাঁচ-সাতটা মিটিং করতেন তাহলে সব সলভ হয়ে যেতো। আমরা কিন্তু এখনও দেখিনি যে আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেতারা, বিএনপির সম্মানিত নেতারা একসঙ্গে বসেছেন? টেবিলে বসে আলোচনা করলে অনেক ভালো হতো এবং একটা সুরাহা হতো।’

সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সঙ্গে বৈঠকে বসে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের জন্য যে প্রস্তাব ছিল আইন-কানুন দেখে নিয়েছি। দায়িত্ব পালন করবো। ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টা, ভোটকেন্দ্র যেন কারো দখলে চলে না যায়, সেটা আমরাও চেষ্টা করবো। আপনারাও চেষ্টা করবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ একটাই, ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ করে দেওয়া। এই কাজটা ইসিকে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা জিনিস দাঁড়িয়ে গেছে, যে করেই হোক জিততে হবে। কিন্তু হার মেনে নিতে হবে। ভারতে এতো বড় নির্বাচন হলো। সেখানে কংগ্রেসের ভরাডুবি হলো। কংগ্রেসের কাউকে শুনলাম না নির্বাচনটা ভালোভাবে হয়নি। আমাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ভারতে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে দোষারোপ করা সহজ হচ্ছে না। আমরা এ ধরনের ঐতিহ্য গড়ে তুলতে পারিনি।’

দলের পরিচালনা বোর্ড প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে সংলাপে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনাররাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশ নিয়েছেন। গত দুদিনে পাঁচটি দলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এসআর/এসএম