শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা, তিনি ফিরেছিলেন বলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরেছিল।

রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ সভাপতি নন, তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও আপস করেননি। এক এগারোর সরকার তার দেশে ফেরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই হত্যা করা হবে বা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা সেসব হুমকি উপেক্ষা করে সব বাধাকে জয় করে দেশে ফিরেছিলেন। তিনি দেশে ফেরার পরে প্রতিদিনই তাকে মৃত্যু তাড়া করেছে। এর আগেও তাকে ২১ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা দমে যাননি, ভয় পাননি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে দেশে ফিরেছিলেন। আর তিনি ফিরেছিলেন বলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরেছিল।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক এগারোর সময়ে কারাবন্দি অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা এঁকেছিলেন। সে সময়ে কারাগারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আইনজীবী। তখন শেখ হাসিনা তাকে একটি খাতা দেখিয়েছিলেন যেখানে কোন সালে কী উন্নয়ন করবেন, দেশকে কী অবস্থায় নিয়ে যাবেন সেই পরিকল্পনা তিনি লিখে রেখেছিলেন। আর তার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছিল দিন বদলের সনদ তথা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা প্রজ্ঞা দূরদৃষ্টি সাহস সততার জন্যই তিনি আজ বিশ্ব নেতা। এসব গুণাবলীর কারণেই তিনি বিশ্বব্যাপী এই খারাপ সময়ও দেশকে স্বাভাবিক গতিতে রাখতে পেরেছেন। তার নেতৃত্বেই আমাদের অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। যেখানে করোনা মহামারি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দা বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কারণে আজ বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে সব জায়গায় দাঁড়াতে পারছে। তার সততা, দৃঢ়তা, সাহস, মনোবলের কারণে আজকের বাংলাদেশ দীপ্ত পায়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। তাকে যারা কারারুদ্ধ করেছিল, আজকে তারা কোথায়? তারা ইতিহাসের আস্তা`কুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি, পঁচাত্তরের খুনি, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যারা খুন করেছে, ২০০৪ সালে যারা গ্রেনেড হামলা করেছে, ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আজকে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এরা দেশদ্রোহী, দেশের উন্নয়নবিরোধী, দেশের মানুষের অধিকারের বিরোধী, আমাদের সকল ধরনের এগিয়ে যাওয়ার পথে এরাই বাধা সৃষ্টি করতে চায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অপশক্তির অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের চিহ্নিত করে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
 
এএজে/এসকেডি