ইটভাটায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

ইট তৈরিতে কারচুপির অভিযোগে ঢাকার ধামরাই এলাকায় চার ইটভাটাকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাগফুর রহমান।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এমবিএফ ব্রিকস, এমবি ব্রিকস, এমএসবি ব্রিকস এবং এলবি ব্রিকস। ইট তৈরিতে কারচুপির অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ইট তৈরির জন্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সঠিক পরিমাপ নির্ধারণ করে দিয়েছে। সংস্থা‌টির পরিমাপ অনুযায়ী, প্রতিটির ইটের দৈর্ঘ্য ২৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা ৭ সেন্টিমিটার হওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো ইট তৈরিতে তা মানছে না।

পরিদর্শনে পরিমাপে কমসহ ইট তৈরি‌তে নানা কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই নির্দিষ্ট মাপের চেয়ে ছোট আকারের ইট তৈরি করে ভোক্তাদের ঠকা‌নোর অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে চার ইটভাটা‌কে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ব‌লেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়।

এদিকে ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান চালানো হয়েছে। এদিন মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, বিক্রয় রশিদের গরমিল, ওজনে কারচুপি ও ভেজাল মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে সারাদেশ ইটভাটাসহ ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযানকালে আলু, চাল, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল, আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, অনিবন্ধিত ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

এসআই/এমএইচএস