বর্ষার মাস আষাঢ় শেষ হয়ে আসছে। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হলেও তা বিদ্যমান তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সবার একটাই প্রশ্ন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে কবে?

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে।

ঢাকা, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের আভাস নেই। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

তীব্র গরমের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বিরাজ করছে। তা ছাড়া বাতাসের গতিবেগ কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। দিনের ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে কম। সূর্যের কিরণকালও বেশি। এসব কারণে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কবে থেকে বাড়তে শুরু করবে- জানতে চাইলে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, যেহেতু বর্ষাকাল চলছে, সেহেতু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বেই। তবে দু-তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ১৬-১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে তাপপ্রবাহ কমে কিছুটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। 

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি সক্রিয়।

আরএইচ