জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব জামাতের কোনোটিতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। মানা হয়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাও।

গত ৭ জুলাই মুসল্লিদের বাসা থেকে ওজু করে ঈদগাহ বা মসজিদে আসতে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে কাতারে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু তা মানতে দেখা যায়নি। বাসা থেকে ওজু করে আসলেও দুই কাতারের মাঝে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার যে নির্দেশনা ছিল তা মানতে দেখা যায়নি কাউকে। এছাড়া মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।

রোববার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত সকাল ৭টা, ৮টা ও ৯টার ঈদের জামাতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মসজিদ, ঈদগাহ ও ওজুখানায় সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। নিজ নিজ জায়নামাজ ও টুপি নিয়ে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত টুপি ও জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে ও বাইরে হাজার হাজার মুসল্লির জন্য বসানো ছিল মাত্র আটটি অস্থায়ী বেসিন। প্রথম জামাতের পর বেসিনের সাবানও শেষ হয়ে যায়।

তবে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ইমামরা মোনাজাতে করোনামুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করেন।

জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ঈদের চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দীন কাশেম (পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম)। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. জহিরুল ইসলাম (খাদেম, বায়তুল মোকাররম)।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় (১০টা ৪৫মিনিট) অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম)। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. রুহুল আমিন (খাদেম, বায়তুল মোকাররম)।

এআর/এমএআর/