রাত পোহালেই আগামীকাল ঈদুল আজহা। হাটগুলোতে চলছে পশু কেনা-বেচা। শেষ মুহূর্তের বাজারে মাঝারি আকারের গরুগুলোর চাহিদাই বেশি। বড় গরুর দিকে তেমন কারো চোখ নেই।

শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গতকালও যে গরুর দাম উঠেছিল ১০-১২ লাখ, আজ সেগুলোর দিকে ক্রেতাদের পদচারণা নেই।

কমলাপুর হাটে মুন্সিগঞ্জ থেকে কালো একটি ষাঁড় নিয়েছে এসেছিলেন মিশন আহমেদ। হাটের সবচেয়ে বড় এই গরুটির দাম হাঁকানো হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। ৬ বছর ধরে নিজের ঘরে পরম যত্নে লালন-পালন করেছেন গরুটিকে। আজ বিকেলেও গরুটি বিক্রি করতে পারেননি মালিক।

কমলাপুর পশুর হাটে দেখা যায়, ৩৫ মণ ওজনের বিশাল এই গরুর পাশে বসে আছেন মিশন আহমেদ। তিনি গরু অবিক্রীত থাকার শঙ্কায় রয়েছেন।

কথা বলে জানা গেছে, আজ গরুর দাম আরও ৩ লাখ কমিয়ে ১২ লাখ টাকা চেয়েছেন। তাতেও ক্রেতা না পাওয়ায় এখন ১০ লাখ টাকা চাচ্ছেন। তাও ক্রেতারা ৫-৬ লাখ টাকার ওপরে বলতে রাজি নয়। এতে মারাত্মক হতাশায় পড়েছেন এই ব্যাপারী।

তিনি বলেন, কিছু বলতে ভালো লাগছে না ভাই। গরুর দাম চেয়েছিলাম ১২ লাখ। কিন্তু তাতেও বিক্রি হচ্ছে না দেখে শেষমেশ ১০ লাখ টাকা চেয়েছি। তাও ক্রেতারা যে দাম বলছে, তাতে বিক্রি করা সম্ভব না।

এদিকে, বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় দাম কমিয়ে দিচ্ছেন অন্যরাও। ১০ লাখ টাকা দামের সাদা-কালো অস্ট্রেলিয়ান ষাঁড়ের দাম চাওয়া হচ্ছে মাত্র ৪ লাখ টাকা। চার বছর বয়সের ষাঁড়টির ওজন ৩০ মণ। তাও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। সবশেষ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে গরুটির।

মেহেরপুর থেকে গরুটি নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী রায়হান হোসেন। তিনি বলেন, গরুটির বয়স হয়েছে। বিক্রি করে দিতে পারলে ভালো হতো। গতকাল ১০ লাখ টাকা চেয়েছি। কিন্তু ক্রেতা পাইনি। আজ শেষ মুহূর্তে মাত্র ৪ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করে দেব।

বিক্রি না করতে পারলে ট্রাকে করে এলাকায় নিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।

হাটে ২২-২৩ মণ ওজনের একটি গরু নিয়ে এসেছেন গোপালগঞ্জের সেলিম মিয়া। দাম চাইছেন ৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, বড় গরু, তারপরও যে দাম বলা হচ্ছে তাতে বিক্রি করা সম্ভব না। শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে না পারলে এলাকায় নিয়ে যেতে হবে। কী আর করব!

এএজে/এমএইচএস