বৈরী আবহাওয়া না থাকলে আগামীকাল ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জামাতের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহে এবার একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।

শনিবার (৯ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহ ঘুরে দেখা গেছে, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। টেবিল ফ্যান বসানোর কাজ চলছে সারিগুলোতে। আগেই শেষ হয়েছে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নামাজের কাতারে বসানো হচ্ছে বিশেষ কাপড়। এছাড়া বৃষ্টি এলে যেন মুসল্লিদের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য প্যান্ডেলে ত্রিপল লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে জামাত আয়োজনের প্রায় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন : ঢাকায় ঈদের জামাত কখন কোথায়

সকালের দিকে জাতীয় ঈদগাহের সবশেষ প্রস্তুতির অবস্থা পরিদর্শনে এসেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি সার্বিক প্রস্তুতি পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ঈদুল আজহার জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ঈদের জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত। গত ঈদুল ফিতরে মানুষ যেমন পরিবার নিয়ে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করে সন্তোষজনকভাবে ফিরেছিলেন, আশা করছি এবারও সবাই একইভাবে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমি আশাবাদী আগামীকাল সবাই উৎসবমুখর পরিবেশ ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করবেন।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহের মুসল্লিদের সুবিধার্থে কী কী আয়োজন থাকছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মমর্তা আবু নাছের বলেন, আমাদের জাতীয় ঈদগাহের ক্ষেত্রফল ৩০ হাজার বর্গমিটার। এখানে এবার এক সাথে জামাত আদায় করতে পারবেন প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি পুরুষ ২৫০ এবং নারী ৮০ জন। আর সাধারণ জনগণের মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার জন আর নারী সাড়ে ৩ হাজার  নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখানে প্রধান ফটকের সংখ্যা রাখা হয়েছে ৩টি, এর মধ্যে ভিআইপি একটি আর সাধারণ মানুষ পুরুষ ও নারীর জন্য পৃথক দুইটি।

তিনি আরও জানান, জাতীয় ঈদগাহে নামাজের জন্য কাতার করা হবে ১২১টি। এর মধ্যে ভিআইপি ৬টি, আর সাধারণ মানুষ নারী-পুরুষ পৃথক কাতার মিলে ১১৫টি। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে ১৪০ জন করে এক সাথে ওযু করতে পারবেন।

জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে জানিয়ে আবু নাছের বলেন, মুসল্লিদের জন্য জাতীয় ঈদগাহে ১০টি এয়ারকুলার, ৫৫০টি সিলিং ফ্যান, ১৫০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৭৪০টি লাইট লাগানো হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সামিয়ানা, পর্যাপ্ত কার্পেট সুবিধা রাখা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহে।

এএসএস/এসকেডি