ফাঁকা হচ্ছে রহমতগঞ্জ পশুর হাট
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল রহমতগঞ্জ পশুর হাট। তবে দুপুরের পর থেকে সেই চিত্র বদলে যেতে শুরু করে। দুপুর ২টায় প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় রাজধানীর এ পশুর হাটটি।
সরেজমিন দেখা যায়, রহমতগঞ্জ মাঠের মূল হাটের বাইরে চারপাশের সড়কে ফাঁকা ও বিচ্ছিন্নভাবে অল্পসংখ্যক গরু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যাপারীরা। মাঠের ভেতর হাতেগোনা কয়েকটি গরু অবিক্রীত রয়েছে। এসব গরুর অধিকাংশই বড়।
বিজ্ঞাপন
ব্যাপারীরা বলছেন, সকাল থেকে প্রচুর ক্রেতা হাটে ঢুকে গরু কিনছেন। মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা বেশি, দামও তুলনামূলক বেশি। আমরা সীমিত লাভেই গরু ছেড়ে দিচ্ছি।
জামালপুরের ব্যাপারী আইনুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৬৪ হাজার টাকায় ৩ মাস আগে একটি গরু কিনে আজ ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করলাম। বাজারে গরু যেমন কম, ক্রেতাও কমে গেছে, তাই গরু ছেড়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন : ১৬ মাস বয়সের বাচ্চা দেখেও কারো মন গলেনি!
এদিকে গতকাল সকাল থেকেই এ পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দাম নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য ছিল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
দাম বেশি থাকার বিষয়ে ব্যাপারীরা জানান, পশুখাদ্যসহ সব জিনিসের দাম বাড়ায় গরুর দাম বেড়েছে। তবে একই কারণে এবার পশু কোরবানি কম হবে। অনেকেই কোরবানি করবেন না বা ভাগে কোরবানি দেবেন।
পাবনা থেকে ঢাকায় তিনটি বড় গরু নিয়ে এসেছেন জয়নাল আহমেদ। তিনি বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী গরুগুলো লালন-পালন করেছি। আমার ৩টাই বড় গরু, এক সাইজের। মাংস হবে ১০ থেকে ১১ মণের মতো। গরুগুলো আমি ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখের মধ্যে বিক্রি করব ভেবেছিলাম। এখনও একটাও বিক্রি হয়নি। একটার সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২ লাখ ৫০ হাজার। গরুর মাংসের কেজি ৭২০ টাকা। ক্রেতারা এই দামও বলছে না।
এআর/এসকেডি