গরুর হাটে ব্যাপারীদের নিরাপদে টাকা পরিবহনে পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুরে গরুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, আমরা হাটে ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা এখানে গরু কিনতে এসেছেন এবং যারা হাট ডেকেছেন তাদের সঙ্গেও বলেছি। ব্যাপারীরা বহুদূর থেকে গরু নিয়ে হাটে এসেছেন, তাদের সমস্যা হচ্ছে কিনা বা ক্রেতাদের সমস্যা আছে কিনা আমরা জানার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় হাসিল নিয়ে অভিযোগ থাকে, এবার হাসিল নিয়ে কারো অভিযোগ আছে কিনা জানতে চেয়েছি।

স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, আমরা হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। এখন করোনার হালকা ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব দেখা যাচ্ছে। হাটে আসা মানুষদের সচেতনতা নিয়ে কথা বলেছি। হাট কর্তৃপক্ষকে বলেছি যারা মাস্ক ছাড়া আসবে তাদের যেন মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়।

তিনি বলেন, ব্যাপারীদের খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। বিভিন্ন বছর দেখা গেছে তারা অসুস্থ হয়ে যান। এছাড়া, তারা যাতে গরু বিক্রির টাকা নিরাপদে নিয়ে যেতে পারে, এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য বলেছি।

পশুর হাট নিয়ে আইজিপি বলেন, হাটে প্রচুর গরু আছে। তবে দাম বেশি বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। দেশে এক কোটির বেশি কোরবানির পশু আছে, যেগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত। এগুলোর সবই আমাদের দেশীয় উৎপাদিত, এটা ভালো লক্ষণ। এখন আমরা কোরবানির পশুর জন্য অন্য কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল নই। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে এক সময় হয়তো আমরা মাংস রপ্তানি করতে পারব।

এআর/এমএইচএস