ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে কমলাপুরে
ঈদ যাত্রার সর্বোচ্চ চাপ আজ (শুক্রবার) সামাল দিতে হচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে। গতকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও আজ তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের ছাদে বিপদজনকভাবে ঈদ যাত্রা করতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। বিপুল পরিমাণ যাত্রী সামাল দিতে ত্রায়ী অবস্থা সংশ্লিষ্টদের।
অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে স্টেশনে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ এবং কাল মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার যাত্রী ট্রেনে বাড়ি যাচ্ছে। আজ সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের চাপ। ফলে রেলওয়ে পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রী নামানো সম্ভব হচ্ছে না। তারাও চাপ সমলাতে পারছে না।
তিনি বলেন, গতকাল পোশাক কারখানা, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে যায়। তাই আজ সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন যাত্রীরা। বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৬টি আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।
কয়েকটি ট্রেনের বিলম্বিত যাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলো যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারছে। কিন্তু উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ঠিক সময়ে কমলাপুর ছেড়ে যেতে পারছে না। এর মধ্যে কোনোটা এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে যাচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবন এক্সপ্রেস প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে, বাফারে এবং ইঞ্জিনে না উঠতে নিষেধ করেছি আমরা। যাত্রীরা কারও কথা শুনছেন না।
এমএসি/এসকেডি