জাপান-অস্ট্রেলিয়াতেও লোডশেডিং হচ্ছে
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, জাপান-অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তারাও সাশ্রয়ে মনোযোগী হচ্ছে। তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভা কক্ষে সারা দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রসঙ্গে এক জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, জাপানের আয় আমাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে, তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে, বিদ্যুৎ জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেনে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলেও অনেক উন্নতি হয়েছে। যদি দাম না বাড়ত, অস্থিরতা তৈরি না হতো, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় দামের ব্যাপারে সহনশীল। তিনি বলেন, জালানি এবং বিদ্যুৎ খাতে যে ঘাটতি, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, সেটির একটু গভীরে গিয়েছি। কীভাবে আমরা সাশ্রয়ী হব সেটি নিয়ে ভাবছি।
বিএনপি-জামায়াতের সময় অনেক ঘণ্টা লোডশেডিং হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। যার যার ঘরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার কমাব। এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না, আলোকসজ্জা হবে না, বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠান যেগুলো রাতে হয়, সেগুলো সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, পরিস্থিতিটি একটি যুদ্ধের মতো। সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।
সভা প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কীভাবে আগে জানানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আগেই যদি লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে জানাতে পারি, তাহলে গ্রাহকরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারবে। সেটি জেলা লেভেলের কর্মকর্তারা জানাবেন। তবে তাৎক্ষণিক সেটা জানানো কঠিন। সেজন্য আমাদের বিপিডিসি একটা অ্যাপ তৈরি করেছে, সেখানে ঢুকলে জানা যাবে কোন এলাকায় কখন, কবে লোডশেডিং হবে। সেটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জানানো হবে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তারা সেটি বাস্তবায়ন করবে, তাদের প্রয়োজনে আরও শক্তিশালী করা হবে। যাতে করে ঘাটতিটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, করোনার সময় আমরা জীবনটাকে অন্যরকম করে নিয়েছিলাম। এখন আমরা যদি অফিসের সময় আরও কমিয়ে আনতে পারি, পিক আওয়ারের মধ্যে শেষ... আমরা ঘরে বসেই কাজ করতে পারি কি না, সেটি আমাদের দেখতে হবে। করোনাও বাড়ছে।
বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে যাব।
টিআই/এসএসএইচ