চট্টগ্রামে দুই ঘণ্টায় শেষ বিজয় এক্সপ্রেসের টিকিট
ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে দুই ঘণ্টায়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৯ জুলাইয়ের ময়মনসিংহগামী বিজয়, সিলেটগামী পাহাড়িকা ও উদয়ন ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে ঢাকাগামী সুর্বণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, মহানগর এক্সপ্রেস, গোধূলী ও তূর্ণা নিশিথা ট্রেনের কিছু টিকিট বেলা ১১টা পর্যন্ত অবিক্রিত ছিল। এছাড়া চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও অবিক্রিত ছিল।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, টিকিটের কার্যক্রম সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। স্টেশনে পুলিশ, আরএনবিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
গতকাল (সোমবার) টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য আটক হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বেলা ১১টায় সরেজমিনে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে, টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।
চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছিলেন আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও বিজয় ট্রেনের টিকিট পাইনি। পরে মহানগর এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছি ভৈরব পর্যন্ত। সেখান থেকে সড়ক পথে বাড়ি যাব।
সিলেটগামী ট্রেনের যাত্রী ফজলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিলেটগামী উদয়ন ট্রেনের শোভন টিকিট চেয়ে পাইনি। পরে এসি টিকিট নিতে হয়েছে।
ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী ট্রেনের টিকিট কেটেছেন সুজন নামের এক যাত্রী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্টেশনে এসে বেলা ১১টার দিকে ঢাকার এসি টিকিট পেলাম। কোনো ঝামেলা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিকিট কিনতে আসা শহিদুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ১০টায় লাইনে দাঁড়িয়ে অল্প সময়ের মধ্যে টিকিট পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। আজ তেমন যাত্রীর চাপ ছিল না।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনে মোট সাত হাজার সিট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টিকিট। বাকি টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুরগামী স্পেশাল দুটি ট্রেনের এক হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনের ১ নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাস টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলী ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বাকি কাউন্টারে অন্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
কেএম/এসএসএইচ