পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সমাপ্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি দুই দেশের অপার সম্ভাবনাগুলো অনুসন্ধানের মাধ্যমে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্যোগে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিধি আরও প্রসারিত ও ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।

সোমবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৈঠকে ড. মোমেন ইন্দোনেশিয়ার বাজারে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্যসহ আরও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রবেশাধিকার দিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘন ঘন মতবিনিময়ের পরামর্শ দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে সমস্যাটি মিয়ানমারের তৈরি এবং এটি মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে একমাত্র সম্ভাব্য সমাধান হলো বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের নিজ ভূখণ্ড মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন।

ড. মোমেন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থনেরও আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য প্রতিনিধি বিনিময়, ট্রেড এক্সপোতে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ড. মোমেন ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার সমর্থনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশেই যথাযথ উৎসবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আনন্দ প্রকাশ করেন।

এসএসএইচ