ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৌশলগত উৎকর্ষ অর্জনের আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পিজিআরকে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও কৌশলগত উৎকর্ষ অর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৪ জুলাই) তিনি ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২২’ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, পিজিআরের প্রত্যেক সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ, যাতে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা তাদের কার্যকলাপ ও অপরাধের ধরনে পরিবর্তন আনছে। তারা পারস্পরিক যোগাযোগ ও অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পিজিআর সদস্যদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে- ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, মনে রাখতে হবে, জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয় বরং জনসম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আপনাদের কৃতিত্ব।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদৃষ্টির প্রতিফলন ঘটিয়ে ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কালের বিবর্তনে দায়িত্বের পরিধি বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক কাঠামোর পরিবর্তনের পাশাপাশি পিজিআর সদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ রেজিমেন্ট আজ একটি সুশৃঙ্খল, পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তিনি বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জীবনযাত্রা এবং জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও পিজিআর সদস্যদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার প্রশংসা করেন।
এ বিশেষায়িত বাহিনীর কার্যক্রমকে পবিত্র, গুরুত্বপূর্ণ, গৌরবময় ও স্পর্শকাতর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আপনাদের একাগ্রতা, শৃঙ্খলাবোধ এবং সর্বোপরি কর্তব্যের প্রতি সচেতনতা ও দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
আবদুল হামিদ চেইন অব কমান্ডের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল থেকে পিজিআর সদস্যদের তাদের ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে রেজিমেন্টের অর্জিত গৌরব রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতি পিজিআর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং এর সব শহীদ ও প্রয়াত সৈনিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সচিব, পিজিআর কমান্ডার ও ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরএইচ