গাবতলী হাটে আসছে কোরবানির পশু
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা উত্তর সিটির অধীন গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের গুরুত্ব বেড়ে যায় অনেক। যদিও সারা বছরই এ হাটে পশু কেনাবেচা হয়। বরাবরের মতো এবারো ঈদের আগেই সব প্রস্তুতি শেষ করেছে হাট কর্তৃপক্ষ।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ হাটে আসছে কোরবানির পশু। আসছে ছোট-বড় গরু, সঙ্গে ছাগল-ভেড়া ও দুম্বা। হাটে পশু থাকলেও ক্রেতাদের ভিড় এখনো শুরু হয়নি। যারা আসছেন,তারা দেখে, দাম-দর করে চলে যাচ্ছেন। রোববার (৩ জুলাই) রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ। এ জন্য সকাল থেকে ক্রেতার দেখা তেমন নেই। তারা আশাবাদী আগামী কয়েকদিনে ভালো বেচাকেনা হবে। কারণ প্রতিবারই ঈদের ঠিক দুইদিন আগে পশুর হাট জমে যায়। সেজন্য এখনই হতাশ হচ্ছেন না তারা।
নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কুষ্টিয়া থেকে এসেছি। ৪৯টি গরু নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে দুইটি বিক্রি করেছি। এখনো ৪৭টি গরু অবিক্রিত রয়েছে। তবে আগামী বুধ, বৃহস্পতিবার, শুক্র ও শনিবার আমাদের বেচাকেনা জমজমাট হবে।
আরও পড়ুন : সড়ক ও মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না
শুকুর নামের এক ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির কারণে পশু নিয়ে একটু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম। আগামী দুই তিন দিন পর বেচাকেনা জমে উঠবে। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি লসের মধ্যে যেন না পড়তে হয়। আশা করছি সব বিক্রি করতে পারব।
গাবতলী পশুর হাটে ঢুকতেই কথা হয় মেহেরপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী মোবারকের সঙ্গে। তিনি বলেন, নিজ এলাকা থেকে গরু কিনে গাবতলী নিয়ে এসেছি। ৩৬টি গরু এনেছি। প্রতিটি গরু মাঝারি আকারের। দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে আসার পর আমি তিনটি গরু বিক্রি করতে পেরেছি।
বড় গরুর মধ্যে গাবতলীতে নজর কেড়েছে মেহেরপুরের ‘গরিবের আশা’। এর মালিক মেহেদি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিজ হাতে যত্ন করে আশাকে বড় করেছি। এবার বিক্রি করতে গাবতলীতে নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত এ হাটে সবচেয়ে বড় গরু আশা-ই। এর ওজন ৩০ থেকে ৩৫ মণ হবে। আমি ১৬ লাখ টাকা দাম চেয়েছি। এখন পর্যন্ত একজন অনলাইনে আশাকে দেখে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে। তবে কেউ সরাসরি দাম বলেনি।
হাটে আসা মিরপুরের বাসিন্দা সজল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দামের একটি মাঝারি আকারের গরু কিনেছি। নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকব বলেই আগেই গরুটি কিনে ফেললাম।
এ ছাড়া শ্যামলীর বাসিন্দা রুহুল জানান, গরু দেখতে এসেছি। পছন্দ ও দামে হলে কিনে নিয়ে যাব।
গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের ইজারার দায়িত্বে থাকা রাশিদুল জানান, আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের জন্য খুপরি ঘর, গরু রাখার স্থান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি বাগড়ায় যেন রাখাল ও পশু না ভিজে, সে জন্য শেড দেওয়া হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে প্লাস্টিকের ত্রিপল লাগিয়েছেন। হাটে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। পশু বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে যেন হাসিল আদায় করা হয়, সেজন্য হাসিল ঘর তৈরি করা হয়েছে। মনিটরিংয়ের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে। আশা করছি সমস্যা হবে না।
এসআর/আরএইচ