শিশুর বয়স ১৮ বছর থেকে কমানোর সুপারিশ
শিশুদের বয়স ১৮ বছর থেকে কমানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রোববার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, আইনে আগে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু বর্তমানে এটা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে ১৮ বছর করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে পরিবর্তন আনা দরকার। বয়সটা ১৮ বছরের নিচে আনা প্রয়োজন বলে সভায় সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সম্প্রতি ১৪ বছরের একজন ছাত্র শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলেছে। ওই ছাত্র শিশু হওয়ায় তাকে আইনের আওতায় আনতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, দেশের প্রেক্ষাপটে ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের আইনে কী আছে- সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইনের পরিবর্তন আনায় কাজ করতে।
আরও পড়ুন : কথিত প্রেমিকা বললেন, জিতু আমাকে ফুফু ডাকত
দেশে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়টি দেখা যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আমরা মনে করছি আইনের পরিবর্তন হওয়া দরকার। সে আলোকে আইনমন্ত্রীর মাধ্যমে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আমরা শিশু আইন সংশোধন করার সুপারিশ করেছি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত শিশুদের বয়স ১৪ বছর পর্যন্ত করা। তবে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৮ বছর থেকে কমানোর।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
সেতুতে ডিজিটাল টোলব্যবস্থা চালু করতে অনুরোধ
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এর সুবিধা সম্পর্কে আমরা দেখেছি, পদ্মা সেতুতে অনেক টোল আদায় হচ্ছে। এই টোল দিতে অনেক কষ্ট হয়, কারণ ম্যানুয়ালি সংগ্রহ করা হয়। আসন্ন ঈদে হাজার হাজার গাড়ি যাবে। তখন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই ঈদে কিছু করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতের জন্য সারাদেশে যাতে অটোমেশন টোলের ব্যবস্থা করা যায়, এ জন্য আমাদের প্রত্যেকের গাড়িতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্থাপন করতে হবে। এতে করে কাউকে আর ম্যানুয়ালি টোল দিতে হবে না।
এই ব্যবস্থা দ্রুত চালুর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসএইচআর/আরএইচ