‘ফেসবুকে গালাগালি বন্ধ করুন, ধৈর্য ধরুন’

ইভ্যালির বর্তমান বোর্ডের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনের খবরে শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন গ্রাহকরা। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হয়ে গ্রাহকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবির মিলন। 

এ সময় তিনি গ্রাহকদের বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। কোম্পানি বাঁচানোর চেষ্টা করছি। আপনারা যেন পণ্য অথবা টাকা ফেরত পান, সেই চেষ্টা করছি। 

তিনি আরও বলেন, কোম্পানি বাঁচলে ব্যবসা চলবে। কোম্পানি না বাঁচলে টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত করা হবে। দুই বছর টাকা পাবেন না। আস্থা রাখুন। ফেসবুকে গালাগালি বন্ধ করুন, ধৈর্য ধরুন।

এর আগে, গ্রাহকরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন।

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

জেইউ/আরএইচ