ইভ্যালির রাসেলের মুক্তি চেয়ে গ্রাহকদের বিক্ষোভ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের মুক্তির দাবিতে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা।
শুক্রবার বিকেলে ইভ্যালির বর্তমান বোর্ডের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনের খবরে জড়ো হন গ্রাহকরা। সংবাদ সম্মেলনের পর বেরিয়ে আসা সাংবাদিকদের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বাইরে উপস্থিত শতাধিক গ্রাহক।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবি, মো. রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিলে ইভ্যালি ঘুরে দাঁড়াবে। গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাবেন, মার্চেন্টরাও পাবেন, মিলবে বিনিয়োগকারীও।
রাসেল রাজু নামে এক গ্রাহক বলেন, ইভ্যালির সাবেক সিইও জেলে যাবার পর থেকে দায়িত্ব নেওয়া বোর্ড যে পরিমাণ সময় নিয়েছে, তাতে কাজের কাজ হয়নি। রাসেল যদি এ সময় পেতেন, তাহলে এত দিনে সব চুকে ফেলতেন। ব্যবসা নতুন করে শুরু হতো। গ্রাহক-মার্চেন্টরা টাকা ফেরত পেতেন।
তিনি বলেন, রাসেলকে জেলে পাঠিয়ে ই-কমার্স নিয়ে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে। অথচ তাকে সময় দেওয়া যেতো। তিনি অবশ্যই ভাল ইনভেস্টর ম্যানেজ করে ফেলতেন। সেই সময়টা তাকে দেওয়া হয়নি। তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি আমাদের। তার মুক্তি লাখ লাখ গ্রাহকের কল্যাণ বয়ে আনবে।
আরেক গ্রাহক রেহেনা খানম বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক-মার্চেন্টকে ক্ষতির সম্মুখীন করা হয়েছে। অনেক কোম্পানিরই মামলা আছে। কিন্তু রাসেলকে জেলে পাঠিয়ে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে হুমকিতে ফেলা হয়েছে। রাসেলকে জেলে পাঠানোয় আমাদের টাকা আটকে গেছে। পণ্য পাইনি, টাকাও পাইনি। অবিলম্বে তার মুক্তি চাই।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
জেইউ/আরএইচ