চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে প্রতীকী অনশন
সরকারি চাকরিসহ সব চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে প্রতীকী অনশন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০) জুন বিকেলে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে এ প্রতীকী অনশন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবি, উন্নত বিশ্ব ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানে চাকরিতে বয়সসীমা অনেক বেশি থাকলেও বাংলাদেশের সরকার এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। বরং কয়েকজনকে এ দাবির ফলে ২৪ বার জেলে নেওয়া হয়েছে। সংসদে ১০০ বারের বেশি বয়স বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আল কাওছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি চাকরিসহ সব চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে সারাদেশব্যাপী আমাদের আন্দোলন প্রায় ৪ বছর ধরে চলছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয় বরং বাংলাদেশের ৪৪টি রাজনৈতিক দলই বয়সসীমা ৩৫ করার পক্ষে ছিল। স্বাধীনতার পরে সংসদে যে দাবিটি সবচেয়ে বেশিবার উত্থাপিত হয়েছে সেটি হলো এ দাবি।
তিনি আরও বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৪০, শ্রীলঙ্কায় ৪৫, তাইওয়ানে ৩৫, মালয়েশিয়ায় ৪৫, ফ্রান্সে ৪৮ এবং উন্নত বিশ্ব ও মধ্যপ্রাচ্যে চাকরিতে বয়সসীমা ৫০ এর উপরে আর আমাদের সরকারকে বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করছে না। আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি কিন্তু অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের মুখপাত্র মো. ইমতিয়াজ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ৩৫ করার কথা থাকলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করছে না। তাই আমরা আবারও রাস্তায় নেমেছি। আমাদের এই প্রতীকী অনশন আরও বড় আকারে প্রতিটি বিভাগ ও জেলাতে শুরু করব।
আন্দোলনে অন্যান্যদের মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহ-প্রধান সমন্বয়ক এম এ আলী, সমন্বয়ক ইউসুফ জামিল ও সাইদ সানি।
আইবি/আইএসএইচ