রাজধানীর গুলশান-২ এর লেকপাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নারকীয় ও বড় জঙ্গি হামলা। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন। সেই রাতের নারকীয় জঙ্গি হামলা নাড়া দিয়েছিল গোটা দেশ তথা সারা বিশ্বকে। হামলার পর দিন অর্থাৎ ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের পরিচালিত রুদ্ধশ্বাস ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ অবসান হয় জিম্মিদশার, নিহত হন হামলাকারী জঙ্গিরা।

নারকীয় ওই জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহতসহ আহত হয়েছিলেন ৩৬-৩৭ জন পুলিশ সদস্য। যাদের মধ্যে অনেকেই আহত হন জঙ্গিদের নিক্ষেপ করা গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে। প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরের স্প্লিন্টারের ভয়াবহ যন্ত্রণা এখনও তাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাদের একজন আবদুল আহাদ। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জঙ্গি হামলার সময় গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ছিলেন তিনি।

আবদুল আহাদ গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফাস্ট রেসপন্সন্ডারদের একজন। দুই পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার আগ পর্যন্ত জঙ্গিদের প্রতিরোধ করে গেছেন। ঢাকা পোস্টের কাছে সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

হঠাৎ ওয়ারলেসে খবর আসে গুলশানে গোলাগুলি হচ্ছে

আবদুল আহাদ বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই। তখন রমজান মাস। আমি গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। আমরা অফিস ছিল গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) অফিসে। আমার পাশের কক্ষেই বসতেন তৎকালীন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ স্যার। ঘটনার দিন ইফতার শেষ করে অফিসে বসে চা খাচ্ছিলাম। চা শেষ হওয়ার আগেই আনুমানিক রাত ৮টা ৪৫-৫০ মিনিটের দিকে ওয়ারলেস সেটে শুনতে পাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে গোলাগুলি হচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই ডিসি স্যার ও আমি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হই। যাত্রা পথে বারবার খবর পাচ্ছিলাম বেকারিতে এক দল সন্ত্রাসী ঢুকে গুলি করছে।

দ্রুত আশপাশের মোবাইল টিমগুলোকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিই

তিনি বলেন, অফিস থেকে ঘটনাস্থলে যেতে সময় লেগেছিল ৫-৬ মিনিট। যাত্রাপথে আমি ঘটনাস্থলের আশপাশের মোবাইল টহল টিমগুলোকে হলি আর্টিজান বেকারিতে যাওয়ার নির্দেশ দিই। তাদের বলি, তারা যেন হলি আর্টিজানের গেটগুলোতে এমনভাবে অবস্থান নেয় যাতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে। আমি যখন গাড়িতে বসে এসব নির্দেশ দিচ্ছিলাম সেই মুহূর্তে পাশের সিটে বসা ডিসি স্যার হামলার বিষয়টি ফোনে তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্যারকে জানান।

ফাস্ট রেসপন্স করে ইউনাইটেড হাসপাতালের পাশের মোবাইল টিম

ডিসি আহাদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে ইউনাইটেড হাসপাতালের পাশে থাকা গুলশান থানার একটি মোবাইল টিম সেখানে পৌঁছায়। একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে মোবাইল টিমটি হলি আর্টিজানের সামনে যাওয়া মাত্রই তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। সন্ত্রাসীদের গুলির জবাবে মোবাইল টিমের সদস্যরাও গুলি ছোড়ে। এরই মধ্যে ওই মোবাইল টিমের দলনেতা হলি আর্টিজানের প্রধান ফটকটি বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন, যাতে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে যেতে না পারে। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ওই এসআই গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থলে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ হচ্ছিল

আবদুল আহাদ বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা এবং আশপাশ থেকে আসা মোবাইল টিমগুলো হলি আর্টিজানের দুটি গেটে অবস্থান নিই। এর মধ্যে ডিসি স্যার একটি গেটে, আরেকটিতে আমি। এ সময় প্রচুর গোলাগুলির আওয়াজ আসছিল হলি আর্টিজানের ভেতর থেকে। গোলাগুলির শব্দ শুনে আমাদের মনে নানা ধরনের সন্দেহ জাগছিল। তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না এটি জঙ্গি হামলা কি না। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার গুলি বিনিময় হয়। তারা বাইরে বের হতে চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের প্রতিরোধের কারণে তারা বের হতে পারেনি।

প্রাথমিক ধারণা ছিল হয়তো ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কাজ

ডিসি আহাদ বলেন, হামলার খবর পাওয়ার পর প্রথম ১০-১৫ মিনিট আমাদের প্রাথমিক ধারণা ছিল এটা হয়তো কোনো ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কাজ। আমরা আসলে ধরেই নিয়েছিলাম যে ঈদের আগ মুহূর্তে (ঈদের তিনদিন আগের ঘটনা) হয়তো কিছু ছিঁচকে পোলাপান ইফতার করতে গিয়েছে সেখানে। টাকা-পয়সা নিয়ে অথবা চাঁদা না পেয়ে কয়েকটা গুলি ছুড়েছে। ছোটখাটো সন্ত্রাসীদের কাজ ভাবলেও এটা যে জঙ্গি হামলা, তা আমাদের ধারণাই ছিল না। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর গুলির শব্দ শুনে আমাদের মনে নানা সন্দেহ জাগছিল। কারণ, সাধারণ চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসী হলে তাদের কাছে ৫ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি থাকার কথা। কিন্তু আমরা যে পরিমাণ গুলির শব্দ ও চিৎকারের শব্দ পাচ্ছিলাম তাতে মনে সন্দেহ তৈরি হয় যে এটি হয়তো বড় কোনো সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি হামলা। তখন আমরা আরও পুলিশ সদস্য পাঠানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই।

হামলা শুরুর ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন র‍্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনার

হলি আর্টিজানে হামলা শুরুর ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে তৎকালীন র‍্যাব ডিজি ও বর্তমান আইজিপি স্যার এবং তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার স্যার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‍্যাবের বড় একটি ডিপ্লয়মেন্ট হয়ে যায়। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সম্পূর্ণ এলাকা ঘেরাও করে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কমিশনার আমাদের সবাইকে হলি আর্টিজানের প্রধান ফটকের সামনে আসার জন্য ডাকেন। আমরা তখন ঘটনাস্থলে পজিশন নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিলাম। স্যারের ডাকে আমরা এক জায়গায় একত্রিত হই। স্যার তখন জানতে চান ঘটনার শুরু থেকে ৪০ মিনিট এখানে কী ঘটেছে, আমরা কী দেখেছি বা জেনেছি। উনি আসলে ঘটনাস্থল নিয়ে প্রাথমিক ধারণা নিতে চেয়েছিলেন তখন।

খবর আসে ভেতরে কিলিং মিশন চলছে

ডিসি আহাদ বলেন, যখন ডিএমপি কমিশনার স্যারকে হামলার বিষয়ে ব্রিফ করছিলাম তখন এক গাড়িচালক দৌড়ে এসে আমাদের বলে, স্যার ভেতরে অনেক মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। জানতে চাইলাম, তিনি কীভাবে জানলেন? তখন সে আমাদের বলে, ভেতরে তার এক পরিচিত গাড়িচালক আছে। সে বিদেশি এক নাগরিকের গাড়ি চালায়। ওই গাড়িচালক হলি আর্টিজানের খাবারের টেবিলের নিচে লুকিয়ে থেকে মোবাইল ফোনে বাইরে থাকা চালককে বলে, সন্ত্রাসীরা গুলি করে অনেক মানুষকে মেরে ফেলছে। তখন আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারি যে এটা জঙ্গি হামলা হতে পারে।

টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে জঙ্গিরা আমাদের অবস্থান জানতে পারে

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যার ঘটনাস্থলে আসার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে একদিকে মাইকিং করে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে হলি আর্টিজানের সামনে কমিশনার স্যারকে মাঝে রেখে আমরা নানা প্ল্যান করছিলাম কীভাবে ভেতরে ঢুকে জঙ্গিদের প্রতিহত করা যায়। আমাদের এ অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন টিভিতে স্ক্রল যাচ্ছিল। জঙ্গিরা হলি আর্টিজানের ভেতরে থাকা টিভি দেখে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। অবস্থান নিশ্চিত হয়েই জঙ্গিরা আমাদের লক্ষ্য করে একাধিক গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। গ্রেনেডগুলো ঠিক আমাদের পেছনে এসে পড়ে।

আমি দেখি ওসি সালাউদ্দিন পড়ে গেছেন

ডিসি আহাদ বলেন, গ্রেনেড নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে শুধু শব্দ আর শব্দ। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি দেখি তৎকালীন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন রাস্তায় পড়ে গেছেন। একটু দূরে ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউলও পড়ে রয়েছেন। আমার পায়ের দিকে হঠাৎ তাকিয়ে দেখি শুধু রক্ত আর রক্ত। এর পরই আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। চোখ খুলে দেখি আমি ইউনাইটেড হাসপাতালে। ঘটনাটি মিনিটের মধ্যে ঘটেছিল। আমার মনে পড়ে ওই হামলায় আমরা তখন ৩৬-৩৭ জন স্প্লিন্টার বিদ্ধ হই। দুজন স্পট ডেথ।

স্যার আমি কিন্তু আপনার পেছনে, বলেন ওসি সালাউদ্দিন

হামলার ঘটনা বড় হওয়ায় গুলশানসহ আশপাশের থানাগুলোর অফিসারদের ঘটনাস্থলে আসতে বলা হয়। বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিনও আসেন। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলার ঠিক আগ মুহূর্তে ওসি সালাউদ্দিন আমাকে বলেন, স্যার আমি কিন্তু আপনার পেছনে। সালাউদ্দিনের এই কথা বলার পরপরই শুধু গ্রেনেডের শব্দ। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওসি সালাউদ্দিন। তার মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ পোশাক ছিল। কিন্তু একটি মাত্র স্প্লিন্টার সালাউদ্দিনের গলায় লাগে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ‘স্যার আমি কিন্তু আপনার পেছনে’ — সালাউদ্দিনের ওই কথা এখনও আমার কাজে বাজে।

১০টি স্প্লিন্টার এখনও রয়েছে আমার পায়ে

ডিসি আহাদ বলেন, জঙ্গিদের নিক্ষেপ করা গ্রেনেডের ১০টি স্প্লিন্টার তখন আমার পায়ে এসে বিঁধে। স্প্লিন্টারগুলো এখনও দুই পায়ে রয়েছে। এগুলো বের করার জন্য অনেক চিকিৎসকের কাছে গেছি। তারা বলেছেন, স্প্লিন্টারগুলো দুই পায়ের টিস্যুর কাছাকাছি আছে। অস্ত্রোপচার করে বের করতে গেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। যদি অস্ত্রোপচার সফল না হয় তাহলে পঙ্গুত্ববরণ করতে হতে পারে। তাই আর অস্ত্রোপচার করাইনি। চিকিৎসকরা বলেছেন, স্প্লিন্টারগুলো যদি নিজ থেকে বের হয়ে আসতে চায় তখন বের করা যাবে। স্বাভাবিকভাবে এখন চলাফেরা করতে পারলেও স্প্লিন্টারের কারণে মাঝেমধ্যে পায়ে ব্যথা হয়।

স্প্লিন্টার বিদ্ধ হওয়ার পর চিন্তা করতে পারিনি আবার কাজে ফিরব

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, স্প্লিন্টার বিদ্ধ হওয়ার পর আমার দুই পা দিয়ে যেভাবে রক্ত ঝরছিল তা দেখে তখন কোনোভাবেই চিন্তা করতে পারিনি আবার কাজে ফিরতে পারব। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় ও সবার দোয়ায় সুস্থ হয়ে আবারও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

রাষ্ট্রের কাছেও স্বীকৃতি পেয়েছি

ডিসি আহাদ বলেন, গুলশান জঙ্গি হামলায় নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদকও পেয়েছি।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশান এলাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে বোমার আঘাতে নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিনসহ দুই পুলিশ সদস্য।

ওই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন— হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‍্যাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেন আদালত। রায়ে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

হামলার মূল অভিযুক্ত তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জের এক বাড়িতে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হন।

এমএসি/এসএসএইচ