ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গুর সময় বাড়িতে বাড়িতে ছাদ বাগান তল্লাশি করা চ্যালেঞ্জ। কেউ অব্যবহৃত টায়ার রেখেছেন কিনা, ছাদ বাগান ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য গত ১০ দিন ধরে ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ছাদ তল্লাশি শুরু করেছি আমরা। 

তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় ছাদে নজরদারি রাখছি। এটা আমাদের জন্য খুব সহজ কাজ হয়ে গেছে। যেখানে আমরা দেখছি, কিলবিল (এডিস মশার লার্ভা) করছে, ওই বাড়িতে গিয়ে ফাইন করছি। বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বনানীর হোটেল শেরাটনের অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ ডিজিটাল পশুর হাট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা ড্রোন নামিয়েছি। এখন এক দিনে ১৫০-২০০ বাড়ি ড্রোন দিয়ে নজরদারি করছি। যেখানে আমরা দেখছি, এডিস মশার লার্ভা কিলবিল করছে, ওই বাড়িতে গিয়ে সাথে সাথে ফাইন করছি।

মেয়র বলেন, আমরা বলতে চাই, যার যার বাড়ির দায়িত্ব তার নিতে হবে। আমরা ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আপনার বাসায় আপনি যদি এডিস মশার জন্ম দেন এর দায়-দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে এবং জেল, জরিমানা, নিয়মিত মামলা হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আগামী ৬ মাসের মধ্যে রিকশাগুলোতে ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেব, কিউআর কোডসহ। সেখানে সব তথ্য থাকবে, এভাবে আমরা নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব। প্রথম অবস্থায় ঢাকা শহরে ২ লাখ রিকশায় ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেওয়া হবে। এই নম্বর প্লেট আসবে বাইরে থেকে, তাই নকল করার কারও কোনো সামর্থ্য নেই। ধরলেই আমরা বুঝতে পারব নম্বর প্লেট নকল করা হয়েছে কি না।

আগামী মাসে উত্তর সিটি এলাকায় ডিজিটাল কার পার্কিং শুরু হবে। আতিকুল বলেন, স্মার্ট সিটি-স্মার্ট বাংলাদেশ-স্মার্ট ডিএনসিসি আপনাদের উপহার দিতে চাই।

২০২১ সালের কোরবানির ঈদে ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্য মানুষকে সুবিধা দেওয়া। করোনাকালে মানুষের অনেক সুরক্ষায় থাকতে হয়েছে, তাদের হটে আসতে হয়নি। সিটি কর্পোরেশন সব জায়গায় লাভ করবে তা কিন্তু নয়। আমরা আমাদের মার্কেট স্থানান্তরিত করে করোনা হাসপাতাল করেছি।

স্মার্ট বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা ডিজিটাল হাট যেটা করতে যাচ্ছি। এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন আয় করবে না। স্মার্ট হাটে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন ব্যাংক, বিকাশ ও নগদ কোন সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে না। নগরবাসী ও খামারিরা যারা আছেন তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে গরু বেচাকেনা করতে পারেন। মন্ত্রীর অনুমতিতে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি হাটকে অনুমতি দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটির জেলা ও উপজেলায় সবখানে স্মার্ট হাট ছড়িয়ে যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের হাটগুলোকে বেছে নিয়েছি।

কোরবানির পশুর হাটে দাম নিয়ন্ত্রণে কোন ব্যবস্থা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, হাটে ওপেন ইকোনমি ব্যবস্থা থাকবে। মার্কেটে যে দাম থাকবে সেই অনুযায়ী হাটের মূল্য থাকবে। আমার জানামতে, কখনো কোন মন্ত্রণালয় গরুর হাটের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি। সব সময় যেভাবে হয়ে আসছে এখনো সেভাবে হবে। শুধুমাত্র সার্ভিস ওরিয়েনন্টেড ডিজিটাল গরুর হাট হচ্ছে।

জেইউ/এসকেডি