পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বিতর্ক
খালেদা জিয়ার কথা স্বীকার করেছেন শেখ সেলিম, দাবি সিরাজের
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের সেতু। ২০০১ সালে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করেছেন তা আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
বুধবার (২২ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
জিএম সিরাজ বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের সেতু। ২০০১ সালে যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। যা সেদিন বাজেট আলোচনায় শেখ সেলিম সাহেব তার বক্তব্যে স্বীকার করেছেন। সেখানে কোন দুঃখে সেতু উদ্বোধনের সময় বিএনপি ষড়যন্ত্র করবে।
এ সময় সরকার দলীয় এমপিদের হইচই করতে দেখা যায় সংসদে।
সিলেট অঞ্চলে বানবাসীর আর্তনাদে আকাশভারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের উচিত এই অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা। সেদিকে সরকারের খেয়াল নেই, তারা এখন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসব উন্মাদনায় মত্ত।
উৎসব-উৎযাপনে বিএনপির আপত্তি নেই জানিয়ে বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও দুর্গত মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় এই উৎসব করাটা অমানবিক ও বেমানান বৈকি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে উদ্বোধন করুন। উল্লাসের মাত্রাহীন উন্মাদনা বন্ধ করুন।
এ সময় সংসদে হইচই করেন সরকার দলীয় এমপিরা।
অর্থমন্ত্রী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন না মেনে পাচার করা অর্থ সামান্য করের বিনিময়ে দেশে এনে বৈধ করার সুযোগ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাচারকারী অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও পুরস্কার পাচ্ছেন। কার্ব মার্কেটে ডলারের দামের অস্থিরতায় কালোটাকার মালিকরা মোটা অংকের বিনিময়ে ডলার কিনে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করবে। সামান্য কর পরিশোধ করে বৈধ করার প্রয়াস পাবেন। এর মাধ্যমে সৎ করদাতাদের কাছে বার্তা যাচ্ছে সৎভাবে আয় করলে দিতে হবে ২৫ শতাংশ কর। আর অসৎভাবে আয় করলে দিতে হবে ৭ শতাংশ কর। এটি বৈষম্য ও সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থি।
স্বাস্থ্যখাতে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের পরিবর্তে ভুটানের নীতি অনুসরণের অনুরোধ করে তিনি বলেন, সেখানে জনসাধারণের চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে এবং বিদেশে যাওয়া লাগে না।
গত রোববার খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন জানিয়ে সিরাজ বলেন, ওনাকে দেখে মনে হয়েছে গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। কঠিন অসুস্থ হলেও তার স্মৃতিশক্তি ও মনোবল ঠিক আছে। তাকে নির্বাহী আদেশে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
এইউএ/ওএফ