বাংলাদেশ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) উত্তরা অফিসে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ঘুষ গ্রহণের সময় হাতেনাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যাদের মধ্যে দুজন দালাল এবং ফটোকপি দোকানের দুই মালিক ও একজন কর্মচারী। তারা অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ করছিলেন।

এ সময় উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের চারজনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযুক্ত দুটি কম্পিউটার দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়। 

সোমবার (২০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে ও উপসহকারী পরিচালক মো. কামিয়াব আফতাহি-উন-নবীর সমন্বয়ে গঠিত টিম অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


 
দুদক জানায়, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, নম্বর প্লেট, ফিটনেস, লার্নার, মালিকানা পরিবর্তনসহ প্রত্যেকটি কাজে বিআরটিএ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ গ্রহণ এবং দালালদের দৌরাত্ম সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরা অফিসে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম সেবা গ্রহীতার ছদ্মবেশে অফিস প্রাঙ্গণ থেকে দুই দালাল এবং ফটোকপি দোকানের দুই মালিক ও এক কর্মচারীকে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে। 

দুদক আরও জানায়, ওই সময় বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুবের আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত আটককৃত আসামিদের মধ্যে চারজনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুটি কম্পিউটার দোকান সিলগালা করে দেন। 

এ ব্যাপারে উক্ত অফিসের সহকারী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেয় টিম। আর অনুসন্ধান শেষে অভিযোগ পাওয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক। 

আরএম/ওএফ