পরিবার সঞ্চয়পত্র যেভাবে কিনবেন
সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের নাম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার কারণে সঞ্চয়পত্র কিনতে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
বর্তমানে দেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। এগুলো হলো- পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র। এর বাইরে আছে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে বিনিয়োগ সুবিধা।
বিজ্ঞাপন
মূল্যমান: ১০,০০০ টাকা; ২০,০০০ টাকা; ৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।
ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা: একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) লাখ টাকা।
যেখানে পাবেন: জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।
যারা ক্রয় করতে পারবেন: ১৮ ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন বাংলাদেশি নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও নারী) এবং ৬৫ (পঁয়ষট্টি) ও তদুর্ধ্ব বয়সের বাংলাদেশি (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন।
মুনাফার হার
১. বছরভিত্তিক মুনাফার হার: পরিবার সঞ্চয়পত্রের বছরভিত্তিক মুনাফার হার নিম্নোক্ত ছক-১ অনুযায়ী দেওয়া হয়।
পূর্ণমেয়াদের জন্য ১ (এক) লাখ টাকায় প্রতি মাসে মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.৫২ শতাংশ হারে ৯৬০ টাকা (নয়শত ষাট) দেওয়া হয়। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কেটে নেওয়া হবে। কিন্তু যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই টাকা উত্তোলন করা হয়, তাহলে উপরের ছক-১ এ প্রদর্শিত বছরভিত্তিক হারে মুনাফা দেওয়া হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করা থাকলে সেটা মূল টাকা হতে কেটে সমন্বয় করে অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে।
২. মাসিক ভিত্তিতে মুনাফার হার: মাসিক মুনাফা উত্তোলনের পর ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদ শেষে মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। বিভিন্ন মূল্যমানের সঞ্চয়পত্রে মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় মুনাফার হার নিম্নোক্ত ছক-২ অনুযায়ী দেওয়া হয়।
৩. মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে ফেরতযোগ্য টাকার পরিমাণ: মেয়াদপূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করলে গৃহীত মাসিক মুনাফা কেটে নেওয়ার পর অবশিষ্ট অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। ১ (এক) লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে নিম্নোক্ত ছক-৩ অনুযায়ী অর্থ ফেরত দেওয়া হয়-
উল্লেখ্য, সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেটসঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়। সঞ্চয়পত্র এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়। ক্রয়ের সময় ক্রেতার ২ (দুই) কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি, নমিনী থাকলে প্রত্যেকের ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে।
সঞ্চয়পত্র ব্যাংক ঋণের জন্য জামানত/আমানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যে সঞ্চয়পত্র জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
তথ্যসূত্র: জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর