কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিষয় ‘পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ’ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (১৫ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিইসি। এসময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লার এমপি বাহারের মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রথমত মাননীয় সংসদ সদস্য বাহারের বিষয়টা আমার দৃষ্টিতে ‘পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ’। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। বাহার সাহেবের ম্যাটার নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আপনারা করেছেন। নির্বাচন পরিসমাপ্ত হয়েছে, এখন এ বিষয়টা নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলব না।’

আরও পড়ুন : কুমিল্লার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ : সিইসি 

স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা পরিবর্তন করবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো। আইন সংশোধনের বিষয়টা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। এটা আমাদের চলমান আছে।’

কুসিক নির্বাচন আচরণ বিধি অনুযায়ী, সরকারি সুবিধা ভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে এমপি বাহার প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু তিনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন বলে তদন্তে প্রতিয়মান হওয়ায় তাকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশনা দিয়েছিল ইসি। তবে এমপি বাহার নিজেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করেন না। এমনকি সরকারের কোনো চাকরিও করেন না, যুক্তি দেখিয়ে ইসির চিঠি দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেন। আদালত তার বক্তব্য শুনে ইসির সিদ্ধান্ত কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান।

নির্বাচনী বিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে- প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বুঝানো হয়েছে।

ইভিএমে গোপন কক্ষে ডাকাত প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘একটা পত্রিকায় এসেছে একজন উকি দিয়েছিল। কিন্তু আপনাদেরই একটা মিডিয়া থেকে বলা হয়েছে জিনিসটা মোটেও সত্য নয়। ইভিএমে ভোটগ্রহণ স্লো ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ভোট দিতে অভ্যস্ত না, তাদের বুঝতে সময় লেগেছে। যারা ইভিএমে অভ্যস্ত ভোট দিয়েছেন, তাদের ১৫ সেকেন্ড ৩০ সেকেন্ড লেগেছেন।’

এসআর/এসএম