ভৈরবের ‘নৌকা নুরুল’ এখন কুমিল্লায়
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নুরুল ইসলাম নৌকার প্রতি ভালোবাসা থেকে চুল কেটে মাথায় নৌকা প্রতীক ফুটিয়ে তুলেছেন। চুল কেটে মাথায় ফুটিয়ে তুলেছেন ৫টি নৌকার দৃশ্য। যার পরিচর্যা করতে মাসে খরচ অন্তত ৪০০ টাকা। নৌকা পাগল নুরুল ইসলাম ভৈরবের চণ্ডিব এলাকার ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বুধবার (১৫) জুন দুপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল ভোট কেন্দ্রের সামনে দেখা যায় তাকে। তিনি ভৈরব থেকে কুমিল্লায় এসেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে। ৬০ বছর বয়সী এই নৌকা পাগল নুরুল আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে ২০০৬ সাল থেকে মাথার চুল কেটে নৌকার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলেন। তার মাথার নৌকা দৃশ্য দেখতে কুমিল্লার অনেক মানুষই ভিড় করছেন তার আশেপাশে।
বিজ্ঞাপন
নুরুল ইসলাম স্লোগান দিয়ে বলেন, জয়ের মালা পরবে কারা, রিফাত ভাইয়ের সমর্থক যারা। ইনশাআল্লাহ জয়ের মালা পরবে সে। রিফাত ভাইকে দেখার জন্য আসছি। তার সঙ্গে গতকাল দেখা হয়েছে। সে যেহেতু বঙ্গবন্ধুর প্রতীক পেয়েছে, তাই তাকে আমার দেখার আছে। আমিও এটা (আওয়ামী লীগ) করি, উনিও এটা করেন। রিফাত ভাই বলেছেন, যাও ফিল্ডে ঘোরাফেরা কর। কোনো সমস্যা নেই। নৌকা মার্কা দেশের উন্নয়ন করেছে, এ বিষয়ে সবাই একমত।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশই আমার। বঙ্গবন্ধু আমার বাবা, আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান সাহেব আমার চাচা। এটা আমাদেরই দেশ। আমার ভয় কিসের। এই নৌকা বানিয়েছি ২০০৬ সাল থেকে। এটা ঠিক রাখতে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা ও সপ্তাহে ১০০ টাকা খরচ হয়। এই টাকা আমার নেতারাও দেয়। আমিও রং মিস্ত্রির কাজ করি। সেখান থেকে পাওয়া টাকাও এ কাজে খরচ করি।
তিনি বলেন, নির্বাচন যেখানেই হয়, আমি সেখানেই যাই। গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জের আইভি আপার নির্বাচন করলাম, সিলেটে কামরুলের নির্বাচন করলাম। আমি যেখানেই গেছি, সেখানেই নৌকা মার্কা জিতে যায় ইনশাআল্লাহ। নৌকার সমর্থকদের জন্য আমি শুভ বার্তা বহন করি। নৌকা জিতবে মানে, জিতে গেছে ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, জয় বাংলা অর্থ পদ্মা সেতু। আপনারা পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কুসিকে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।
এইউএ/এমএইচএন/ওএফ