উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জনশুমারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : মেয়র তাপস
উন্নত বাংলাদেশ গড় তুলতে জনশুমারি ও গৃহগণনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ বিষয়ক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শুমারি জরিপ কমিটির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র তাপস বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেভাবে আপনারা (কাউন্সিলররা) এই ঢাকাকে উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিবেদিতভাবে কাজ করে চলেছেন, তেমনি আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন আপনারা সেভাবে এই জনশুমারিতে সহযোগিতা করবেন। আপনারা সকলেই সম্মিলিতভাবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা ডিজিটাল শুমারি করতে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য একেবারে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা আমাদের একবারেই অনেক দূর নিয়ে যাবে, যেখানে ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেকটা পথ আমরা অতিক্রম করতে পারব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সফল করতে সকল কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন।
ব্যক্তির সরবরাহকৃত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে উল্লেখ করে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প ২০২২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, হ্যাকারদের কবল থেকে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব তথ্য শুধু সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হবে। কারো ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোনো ব্যক্তি বিশেষের নিকট অবমুক্ত করা হবে না।
সারা দেশে মাঠপর্যায়ে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার স্থানীয় শিক্ষিত যুবক, যুব মহিলা এই জনশুমারিতে তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। সঞ্চালনায় ছিলেন সচিব আকরামুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন- করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এনএফ