দখলমুক্ত করে চলতি মাসেই আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ শুরু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কার্যক্রমের দরপত্র সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা আশাবাদী, এ মাসের মধ্যেই এর শুভ উদ্বোধন করতে পারব। এখানে যত রকম দখল রয়েছে, বড় কারখানা কিংবা ব্যক্তিগত দখল, সব দখলমুক্ত করে আমরা পুরো আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখননের কাজ শুরু করব।

বুধবার (৮ জুন) সাপ্তাহিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নর্থ সাউথ ও তাঁতিবাজার এলাকা পরিদর্শন শেষ তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি অবমুক্ত করেছি। খালের মুখ যেখানে ১০০ ফুট ছিল সেগুলো দখল করে তা ৮ ফুট পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছিল। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করেছি। অবৈধভাবে নির্মিত দশতলা ভবনও আমরা ভেঙে ফেলেছি। সুতরাং যখন আমরা শুরু করব, এখানে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। আমরা পুরোটাই দখলমুক্ত করে, অবমুক্ত করে, পূর্ণাঙ্গরূপে আদি বুড়িগঙ্গাকে পূর্বের অবস্থানে নিয়ে আসব, নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।

বুঝে পাওয়ার আগেই আগামী বর্ষা মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে স্লুইস গেটগুলো সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাকি আছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম তো থেমে থাকবে না। আপনারা জানেন যে, সরকারি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেহেতু হয়েছে, তাই এ স্লুইস গেটগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরইমাঝে কীভাবে সেগুলো সচল রাখা যায়, আমরা সেই প্রক্রিয়া নিয়ে নিয়েছি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের প্রমুখ।

এএসএস/আরএইচ