তুর্কি এক নাগরিককে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে

মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক তুর্কি নাগরিককে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই ব্যক্তি আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ২টায় বাংলাদেশে পৌঁছান।

শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, ওই ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশে মাঙ্কিপক্সের কিছু উপসর্গ দেখা গেছে। সেগুলো পরীক্ষা করার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীর হাত, পা ও মাথায় মাঙ্কিপক্সের মতো কিছু ফুসকুড়ি দেখা গেছে। 

রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একজন রোগীকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে। আইইডিসিআর এসে তার নমুনা নিয়ে গেছে। পিসিআর টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল শেষে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কি না। 

মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হলে চিকিৎসার প্রস্ততি আছে কি না জানতে চাইলে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে এ ধরনের বিশেষ রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড করা হয়েছে। এখানে ১০টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা আছে। এ ধরনের রোগী এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে আসেনি। তবে কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমরা এক্ষেত্রে প্রস্তুত আছি।

মাঙ্কিপক্স এক ধরনের ভাইরাস জনিত ইনফেকশন, যে ভাইরাস পশ্চিম আফ্রিকা ও মধ্য আফ্রিকার জঙ্গলের ছোট আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মধ্যে থাকে।

গত ৭ মে যুক্তরাজ্যে নাইজেরিয়া ফেরত এক ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়।  ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে।  

অল্প সময়ের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দেশে নানা গোষ্ঠীর মধ্যে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, সরকার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাবনায় ফেলেছে। বড় আকারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তবে বিজ্ঞানীরা এ কথাও বলছেন যে, আমাদের এখনই এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই।

এআর/এনএফ