সীতাকুণ্ডে আহত ও তাদের স্বজনদের ফ্রি পরিবহন করবে ৩ কোম্পানি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহত ও তাদের স্বজনদের বিনা পয়সায় ঢাকা-চট্টগ্রাম পৌঁছে দেবে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক ও শ্যামলী পরিবহন। তবে এক্ষেত্রে তাদের সঠিক তথ্য-প্রমাণ দেখাতে হবে।
সোমবার (৬ জুন) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পরিবহন তিনটির জেনারেল ম্যানেজাররা। এর আগে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানান হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইমরুল হাসান।
বিজ্ঞাপন
হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি হানিফের সীতাকুণ্ড অফিস আছে। দুর্ঘটনার শিকার লোকজন ও তাদের স্বজনরা কাউন্টার থেকে এ রুটে চলাচলকারী আমাদের যেকোনো বাসে উঠতে পারবেন। শুধু কাউন্টার থেকে একটা কাগজে লিখে দিতে হবে- এত জন যাত্রী পাঠানো হলো।
ইউনিক পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আহমদ হোসেন ফারুখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের ইমরুল ভাই আমাকে রিকুয়েস্ট করেছেন এ বিষয়ে। আমরা আমাদের পরিবহনে ৪/৫ জন মানুষ পরিবহন করতে পারবো। কারণ, আমাদের গাড়ির সংখ্যা কম।
শ্যামলী পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার এস এম ফারুখ বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত ও তাদের স্বজনদের মানবিক কারণে ঢাকা- চট্টগ্রামে ফ্রিতে পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিটি বাসে ২-৩ জন করে নিতে পারব। তবে অবশ্যই তাদের অবশ্যই ডকুমেন্টস দেখাতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইমরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ রাস্তায় চলাচলকারী সব পরিবহন আমাদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকে। রাস্তায় তাদের চলাচলে কোনো ধরনের সমস্যা হলে হাইওয়ে পুলিশ তড়িৎ তাদের সহযোগিতা করে। কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনায় আমার কাছে মনে হলো, আমি তাদের কাছে একটু সাহায্য চাইতে পারি। তারপর আমি এই তিন পরিবহনের জিএমকে কল করি। সঙ্গে সঙ্গে তারা রাজি হন।
তিনি আরও বলেন, আমি এ মুহূর্তে চিকিৎসাজনিত ছুটিতে আছি। তারপরও মনে হয়েছে, দুর্ঘটনা-কবলিতদের পাশে কোনভাবে যদি দাঁড়াতে পারি। জিএমরা বলেছেন, তাদের চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ড কাউন্টারগুলোতে গিয়ে বললেই হবে তারা ওই দুর্ঘটনার শিকার। এতে বিনা পয়সায় তারা পরিবহন করবেন। তবে অবশ্যই সঠিক ডকুমেন্টস সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এতে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে ৪৬ জনের নিহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর আগে চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সংখ্যা ৪৯ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে এর সংশোধনী দেওয়া হয়।
এমএইচএন/আরএইচ