ইভিএমের এক জায়গায় ত্রুটি আছে : নুরুল হুদা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) এক জায়গায় ত্রুটি আছে।
শনিবার (৪ জুন) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) আয়োজিত এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নুরুল হুদা বলেন, একটা জায়গায় ইভিএমে ত্রুটি আছে। ব্যালট ইউনিটকে টেকনোলজির আওতায় আনা যায়নি। এটা কমপ্লেক্সসিটির (জটিলতার) জন্য। এখানেও ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। হয়তো ভবিষ্যতে এটার ব্যবস্থা হতে পারে। তবে যদি পোলিং এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসন সতর্ক থাকে, তাহলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এছাড়া সব কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যায় তাহলে হয়তো এ সমস্যা এড়ানো যাবে। এরকম চ্যালেঞ্জ আসবে, সেটি সমাধান করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের বাইরে রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায় না। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে আনতে হবে এবং সেই দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। বিএনপির প্রতিও আমার অনুরোধ থাকবে, নির্বাচন বয়কট করে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনারা ঠিক করুন কীভাবে নির্বাচনে যাবেন। আপনাদেরকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাশীল, তারা যেভাবে শুরু করেছে, সব রাজনৈতিক দল ও মানুষের উচিত তাদেরকে সহযোগিতা করা। যদি তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়, তাহলে তারা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবে, বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করা ইসির (নির্বাচন কমিশন) জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ। তবে সেটি কমিশন চাইলে অতিক্রম করা সম্ভব।
ইভিএমের ভুল ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমানের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক সময় মুখ ফসকে ভুল কথা বের হয়ে যায়। এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কোনো দরকার নেই। ইভিএমের বিষয়ে তার অনেক আস্থা রয়েছে, এজন্য হয়তো এ কথা বলে থাকতে পারেন। এটা নিয়ে বিতর্কের দরকার নেই। ভুল-ভ্রান্তি অনেকের হয়ে থাকে।
পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের সময় এক অস্বস্তি নিয়ে ছিলেন বলে জানান সাবেক এই সিইসি। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি। তবে জাতীয় নির্বাচনের সময় কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এ সময় তিনি এই সমস্যার জন্য প্রার্থীদের আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন।
এসআর/জেডএস