মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, আমাদের দেশে পুরুষদের চেয়ে নারীরা ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য বেশি ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, তরুণ নারীদের মধ্যেও ধূমপানের হার বাড়ছে। 

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ আয়োজিত ‘তামাক : পরিবেশের জন্য হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এ অনুষ্ঠানে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী শপথ নেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রেস্টুরেন্টে স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের মতো পাবলিক প্লেস, বাসা-বাড়ি ও রেস্টুরেন্ট সব জায়গায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ধূমপানের মধ্যে কোন ভালো কিছু নেই। এটা খুবই কষ্টদায়ক একটা ব্যাপার। তাই তোমরা কখনও ধূমপান করবে না, অন্য কোন তামাকপণ্যও ব্যবহার করবে না। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এর মধ্য দিয়েই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা এজন্য জরুরি যে, ধূমপান না করেও আমাদের সন্তানরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে পাবলিক প্লেস, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং রেস্টুরেন্টে স্মোকিং জোন থাকার কারণে শিশু ও নারীরা ভুক্তভোগী হচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জাং রানা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এমএইচএন/আইএসএইচ