ইভিএম না থাকলে রাতেই সব ভোট নিয়ে ফেলতাম : নৌকা প্রার্থী
ইভিএম না থাকলে রাতেই সব ভোট নিয়ে ফেলতেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তাকে বলতে শুনা যায়, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আঙুলে চাপ দিয়ে ভোট দেবেন। চাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি চাপ দেওয়ার মানুষ রাখব। তবে ভিডিও এডিট করে প্রতিপক্ষ প্রচার করছে দাবি করে মুজিবুল হক বলেন, এমন কথা তিনি বলেননি।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী গত শনিবার বাংলাবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণায় গিয়ে এ বক্তব্য দেন। এ সময় সঙ্গে থাকা সমর্থকরাও তার এ বক্তব্যে সমর্থন দেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মুবিজুল হক হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন। ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মুজিবুলকে বলতে শুনা যায়, ‘রিকশায় করে পারেন, যেমন করে পারেন ভোট দেওয়ার জন্য… কারণ ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে কাউকে না খোঁজে ভোট আমি মেরে দিতাম। কথা বুঝেন নাই। ইভিএমে আইডি কার্ড না ঢুকালে হয় না। ওটা না হলে ভোট আমি রাতেই নিয়ে নিতাম। তাই আপনাদের কষ্ট করে সেটা (এনআইডি) নিয়ে যেতে হবে। গিয়ে মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। কথা বুঝেন নাই। সরকার ইভিএম একটা করছে, তো কী করতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙ্গুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি চাপ দেওয়ার মানুষ রাখব। আমার জন্য একটু দোয়া করবেন সবাই।’
ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার একটা প্রতিপক্ষ প্রথম থেকেই আমার পেছনে লেগে আছে, ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমার জনপ্রিয়তা ঠেকাতে না পেরে মিথ্যা ভিডিও ছেড়েছে। এর আগেও দুইটি ভিডিও ছেড়েছিল।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্য এডিট করে তারা ছড়িয়েছে। আমি আমার বক্তব্যে এমন কিছু বলিনি। আমি বলছি, নির্বাচন আগের মতো নেই। আগে নির্বাচন হতো ব্যালট পেপারে, এখন হবে ইভিএমে। কষ্ট করে ভোটারদের আইডিকার্ড নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে বলেছি। ইভিএমে ভোটে ভয়ের কিছু নেই। নির্বাচনের কর্মকর্তারা দেখিয়ে দেবেন কীভাবে ভোট দিতে হয়। আমি এসব কথা বলছি। প্রতিপক্ষ আমার বক্তব্য এডিট করে এসব প্রচার করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম সাংবাদিকদের জানান, একটা ভিডিও লিংক দেখেছি, সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাঁশখালীর নির্বাচন আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
কেএম/এসকেডি