আজ (৩০ মে) ইভিএম দেখতে নির্বাচন কমিশনে আসেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। সকাল সাড়ে ১০টায় তারা ইভিএমের কাস্টমাইজেশন পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণ শেষে ইভিএমের কাস্টমাইজেশনে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে এই ৩৪ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কাছে আবেদন জমা দেন।

কুমিল্লা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুল আলম ইভিএম পর্যবেক্ষণ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেওয়া আমি যতটুকু দেখেছি, ততটুকুতে সন্তুষ্ট। ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া সম্ভব না। এছাড়া, ভোট দেওয়া অনেক সহজ। কম সময়ের মধ্যে ভোট দেওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে কারচুপির সেরকম সম্ভাবনা দেখছি না। তবে শতভাগ সন্তুষ্ট কিনা এটা বলতে পারব না।’

ছয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আমিরুল ইসলামের প্রতিনিধি বলেন, ‘কীভাবে ভোট দেব, ইভিএম আসলে জটিল কিনা- এসব বিষয় নিয়ে আমরা এতদিন শঙ্কায় ছিলাম। আজ দেখলাম, ইভিএমে ভোট দেওয়া কঠিন কিছু না, খুবই সহজ। মনে হচ্ছে, ইভিএমে নিরাপত্তা বেশি। এটা নিশ্চিত, আমার ভোট অন্য কেউ দিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন যে একটায় ভোট দিলে, আরেকটিতে চলে যাবে। কিন্তু এখানে এমন কোনো বিষয় দেখিনি। যার ভোট তাকে ছাড়া দেওয়া সম্ভব না। এখানে কোনোভাবেই টেম্পারিংয়ের সুযোগ নেই। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আঙুলের ছাপ ছাড়া কোনো ভোটার ভোট দিতে পারবে না। আমি নিজেও একটি ডেমো ভোট দিয়েছি। সেখান অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, ইভিএম নিয়ে আমি শতভাগ সন্তুষ্ট।’

এনআইডি’র সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন নিজেই প্রার্থীসহ প্রতিনিধিদের ইভিএমের বিষয়ক নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। প্রতিনিধিদের সব প্রশ্নের উত্তর তিনি হাতে-কলমে দেখিয়েছেন।

আশরাফ হোসেন বলেন, যেসব প্রতিনিধিসহ প্রার্থীরা ইভিএম কাস্টমাইজেশন দেখতে এসেছেন, তাদের সবাইকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন কোনোভাবেই দিতে পারবেন না। আমরা তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করেছি। ডেমো ভোট দিয়ে বুঝিয়েছি।

তিনি বলেন, আগামী ১৩ জুন এই সিটির ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখানো হবে। ওইদিন কুমিল্লা সিটির সব কেন্দ্রেই মক ভোটিংয়ের আয়োজন করা হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে মক ভোটিং। সব প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার উপস্থিত থেকে মক ভোটিং সম্পন্ন করবেন। মক ভোটিং শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ইভিএমগুলো উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বুঝিয়ে দেবেন।

এসআর/এমএইচএস