ড্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে সভা

সব বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স ও ইউটিলিটি বিল এক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সিদ্ধান্ত ঠিক নয় উল্লেখ তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডিটেইল অ্যারিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের বিষয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, সব বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাতে একই রকম হোল্ডিং ট্যাক্স হওয়া ঠিক না। সব এলাকায় একই রকম ইউটিলিটি চার্জ হওয়া উচিত না। গুলশানে বসবাস করলে আপনি কিছু বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারছেন, আপনি অ্যার্ফোডেবল পারসন (সক্ষম ব্যক্তি)। গুলশানের ট্যাক্স রেট, পানির দাম, বিদ্যুতের দাম যাত্রাবাড়ীর দামের সমান কেন হবে?

আপনি যদি অ্যাফোর্ডেবল পারসন হন তাহলে জাতির জন্য যে আপনার অবদান আছে সেটা রাখছেন? ভিন্ন ভিন্ন হার না হওয়াটাই বৈষম্য। যে এলাকাতে বেশি হওয়া দরকার সেখানে বেশি হবে, বলেন মন্ত্রী। 

তিনি বলেন, আমি পৃথিবীর বিভিন্ন সিটিতে তথ্য নিয়েছি, সব জায়গায় এক রকম রেট না। লন্ডনে প্রতিদিন এক থেকে দুই মিলিয়ন লোক সকালে প্রবেশ করে, বিকেল চলে যায়। কারণ তারা সেখানে অ্যাফোর্ড করতে পারে না। কলকাতায় ট্রেন স্টেশনগুলোয় লাখ লাখ লোক ঢুকছে, বিকেলে চলে যায়।

মন্ত্রী বলেন, এই প্রস্তাবের কেউ কেউ বিরোধিতা করলে আলোচনা হোক। দু’একটা গাল মন্দ শুনতেও হয়, তাহলে শুনে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, ট্যাক্সের রেট এবং ইউটিলিটির প্রাইস কেন এক হবে?

ড্যাপ কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ড্যাপের মেয়াদকাল ২০৩৫ সাল। এখন ফেইজ বাই ফেইজ কাজ হবে। 

তিনি বলেন, আমি ড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে মূল কাজটা করছি। সেটা হচ্ছে- আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার আছেন এবং যারা অবদান রাখবেন তাদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মিটিং করছি। মিটিং করার পর আমরা মূল কাজে যেতে পারব। আমরা একটা নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে কোথায় কততলা ভবন হলে ঢাকার মানুষের বসবাসের জন্য উপযোগী হবে। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল হকসহ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান, রুপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, বিএলডিএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএম এনামুল হক, বিএলডিএ’র কোষাধ্যক্ষ এবং ইউনাইটেড গ্রুপের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা।

এসএইচআর/জেডএস