সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগীদের আইসোলেশনের নির্দেশ
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো মাঙ্কিপক্স রোগ প্রতিরোধে সতর্কতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত মাঙ্কিপক্স রোগীদের ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে তাদের বিষয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলামের সই করা চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়েছে, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। মাঙ্কিপক্স নতুন রোগ নয়, এ রোগকে পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলোতে অ্যান্ডেমিক হিসেবে ধরা হয়। আগে শুধুমাত্র পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণকারীদের বা বাসিন্দাদের মধ্যে শনাক্ত করা হলেও সম্প্রতি ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মাঝে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
রোগীদের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা গেলে এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলোতে ভ্রমণ করলে, অথবা এমন কোনও ব্যক্তি বা লোকের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে বা নিশ্চিত বা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মাঙ্কিপক্সের জন্য সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীকে নিকটস্থ সরকারি সাহপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে তাদের তথ্য পাঠাতে হবে।
একইসঙ্গে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর সমূহে আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা ও হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২১ মে রাতে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আমাদের এতো আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ভাইরাসটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সারাবিশ্ব থেকেই তথ্য উপাত্ত নেব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটি আমরা নেব।
তিনি আরও বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টসহ সমস্ত পোস্টগুলোকে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং অতিদ্রুত যেন তাকে সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত এটুকুই।
টিআই/আরএইচ