কনস্টেবলের কবজি কাটা কবির ৬টির বেশি মামলার আসামি
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় গ্রেপ্তার এড়াতে দায়ের কোপে পুলিশ কনস্টেবলের কবজি বিচ্ছিন্ন করা মো. কবির আহমদ (৪৩) চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। এলাকায় জমি দখল, মারামারিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত তিনি। তার নামে ছয়টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বিজ্ঞাপন
রোববার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযানে গিয়ে আসামির দায়ের কোপে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় কনস্টেবল জনি খানের। একই ঘটনায় আরও এক কনস্টেবল আহত হন। ঘটনার পর পালিয়ে যান আসামি কবির আহম্মদ।
শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পুলিশ সদস্যের কবজি কেটে নেওয়ার পর বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সহযোগী কফিলসহ লুকিয়ে ছিলেন কবির। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে লোহাগাড়ায় ফিরে বড় হাতিয়ার পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেন তিনি। পরে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযান চলাকালে কবির ও তার সহযোগী কফিল র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালান।
তিনি বলেন, কবির ও তার সহযোগী কফিলের গুলিতে আকরাম নামে র্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। পরে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে কবির গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী কফিলকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব। কবিরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কবিরকে ধরার অভিযানে গিয়ে র্যাব সদস্যরা একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলির খোসা, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, দুটি হাসুয়া, একটি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করেন। পুলিশ সদস্যদের জখমে ব্যবহৃত একটি দা অভিযানে জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, কবির ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। কফিল হলেন কবিরের আশ্রয়দাতা। ঘটনার পর দুজনে মিলে বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙর এলাকার একটি দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে ছিলেন। পরে লোহাগাড়ার অবস্থান নিলে বৃহস্পতিবার র্যাবের অভিযানে তারা গ্রেপ্তার হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার কবির লোহাগড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। এলাকায় জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মে তিনি জড়িত। কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তিনি একইভাবে আঘাত করতেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাচেষ্টা ও মারামারি সংক্রান্ত ছয়টিরও বেশি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবারের অভিযানের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হবে।
কেএম/আরএইচ